রিমোটে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

নির্মল বায়ু ও টেকসই পরিবেশ উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে রাজধানীতে রিমোটে ট্রাফিক কন্ট্রোল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে ম্যানুয়াল সিস্টেমে ট্রাফিক কন্ট্রোল করা হচ্ছে। এ সিস্টেমের পরিবর্তে রিমোট কন্ট্রোল পদ্ধতি বলবৎ করার জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশ এবং ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন যৌথভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে।

ইতিমধ্যেই ২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩৪টি রিমোট কেনা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে বাংলামোটর ট্রাফিক সিগন্যালে পরীক্ষামূলক রিমোট কন্ট্রোলিং সিস্টেম চালু করার কথা রয়েছে। এরপর পর্যায়ক্রমে রাজধানীর ৭৭টি ট্রাফিক সিগন্যাল এই সিস্টেমের আওতায় আনা হবে।

রাজধানীতে রিমোটে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করার সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে ইতিবাচক। রাজধানীর যানজট অসহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। এর আগে এই জট নিরসনে নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে; কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বরং যতই দিন যাচ্ছে, ততই জেঁকে বসছে অব্যবস্থা।

আমাদের মনে আছে, ডিইউটিপি প্রকল্পের আওতায় ২০০১-২০০২ সালের মধ্যে রাজধানীতে ৭০টি ট্রাফিক সিগন্যাল স্থাপন করা হয়। ২০০৫ সাল পর্যন্ত এসব ট্রাফিক সিগন্যালে বাতির নির্দেশনা অনুসরণ করে চলাচল করত গাড়ি। এরপর রাজধানীতে অস্বাভাবিক হারে গাড়ির সংখ্যা বাড়তে থাকলে ম্যানুয়াল সিস্টেমে ফিরে আসে ট্রাফিক কন্ট্রোল।

ম্যানুয়াল সিস্টেমে ট্রাফিক কন্ট্রোল খুবই সেকেলে একটি পন্থা। এটি দৃষ্টিকটূও বটে। বিদেশিরা এদেশে এলে এই সিস্টেমের ট্রাফিক কন্ট্রোল দেখে রীতিমতো বিস্মিত হয়। সবচেয়ে বড় কথা, অটোমেশন সিস্টেমে সড়কের বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করে বাতি জ্বালানো সম্ভব হয় না।

স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে বাতি জ্বলে বলে কোন্ রাস্তায় কখন গাড়ির চাপ কম বা বেশি তা ধরা পড়ে না। এর ফলে দেখা যায়, সবুজ বা লালবাতি জ্বলার পরও ট্রাফিক পুলিশ হাত দিয়ে পরিস্থিতি অনুধাবন সাপেক্ষে ট্রাফিক কন্ট্রোল করে থাকে।

রিমোট কন্ট্রোলিং সিস্টেম চালু হলে পিক আওয়ারে ট্রাফিক সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। রিমোট কন্ট্রোলিং সিস্টেম সম্পূর্ণরূপে দায়িত্বপ্রাপ্তদের পর্যবেক্ষণ ক্ষমতার ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় এর কার্যকারিতা হবে অনেক ফলদায়ক। অবশ্য এজন্য দায়িত্ব অর্পণের আগে সংশ্লিষ্টদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণেরও প্রয়োজন রয়েছে।