রিকশায় আঁকা বিজয়ের গল্প

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১। পৃথিবীর বুকে জন্ম নেয় বাংলাদেশ নামের নতুন একটি রাষ্ট্র। সারে সাত কোটি মানুষের স্বপ্নের দেশ, বাংলাদেশ। তবে বিজয়ের এই পথটা সহজ ছিলো না।

ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্ত ও অসংখ্য মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে এসেছে এই স্বাধীনতা। এই মানচিত্র অর্জনের পথে রচিত হয়েছে বীরত্বের অসংখ্য গল্পগাঁথা।

এই গল্পগুলো রচিত হয়েছিলো আমাদের আশেপাশেই। যে পথ দিয়ে আমরা প্রতিদিন হেঁটে যাই কিংবা যে চায়ের দোকনটাতে বসে আমাদের নিয়মিত আড্ডা।

সেসব স্থানেই ১৯৭১ সালের সেই উত্তাল দিনগুলোতে বীর মুক্তিযোদ্ধারা করেছিলো দুর্ধর্ষ সব অপারেশন।প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ মনে প্রাণে বিশ্বাস করে নতুন প্রজন্মের কাছে বিজয়ের গল্পগুলো পৌঁছে যাওয়া উচিৎ।

মহান মুক্তিযুদ্ধের সেই গল্পগুলো নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ এবং বাঘের বাচ্চা ডিজিটাল একাসথে তৈরি করেছে “বিজয়ের গল্প”।

মহান মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ অপারেশনগুলো তুলে ধরা হয়েছে রিকশা পেইন্ট-এর মাধ্যমে। এই চিত্রকলাগুলো রিকশা ব্র্যান্ডিং, সিএনজি ব্র্যান্ডিং এবং স্টিকারের মাধ্যমে পৌঁছে দেয়া হবে নতুন প্রজন্মের কাছে।

এছাড়াও এই মাইক্রো সাইটে রয়েছে প্রতিটা অপারেশনের বিস্তারিত অ্যানিমেশন ও গল্প। যে গল্পগুলো নতুন প্রজন্মকে জানাবে সেইসব দিনগুলোর কথা।

ঢাকা শহর জ্যামের শহর। প্রতিদিনই ঘন্টার পর ঘন্টা আমাদের জ্যামে বসে থাকতে হয়।

জ্যাম ছাড়াও আরো একটি বিষয় রয়েছে যার কৃতিত্ব শুধুই আমাদের। সেটা হলো রিকশা। এই রিকশা আর্ট একমাত্র বাংলাদেশেই হয়।

এই রিকশা আর্টকে মাধ্যম ধরে মুক্তিযুদ্ধের গল্পগুলো নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেয়া সবচেয়ে সহজ। নতুন প্রজন্ম জ্যামে বসেই জানবে মুক্তিযুদ্ধের বিজয়গাঁথা।

মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে ধারণ করুক বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ। পৃথিবী জানুক এদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বের কথা।