রায়ে সন্তুষ্ট পরিবার, দ্রুত ফাঁসি কার্যকরের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ড. রেজাউল করিমের হত্যা মামলায় আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে তার পরিবার ও রাষ্ট্রপক্ষ। মঙ্গলবার দুপুরে হত্যা মামলায় দুই জঙ্গির ফাঁসি ও তিনজনের যাবজ্জীবনের রায় দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

নিহতের পরিবার দণ্ডিত দুই জঙ্গির ফাঁসির রায় দ্রুত বাস্তবায়ন দেখতে চান বলে জানিয়েছে। ড. রেজাউলের মেয়ে রিজওয়ানা হাসিন শতভি। তিন বলেন, চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার প্রধান আসামি জঙ্গি শরিফুল বাবাকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী। কিন্তু তাকে এখনও গ্রেফতার করা যায়নি। শরিফুলের গ্রেফতার না হওয়া আমাদের খুব কষ্ট দেয়। আমরা শরিফুলকে গ্রেফতার করে তাকে ও মাসকাওতের ফাঁসির রায় দ্রুত কার্যকর দেখতে চায়। তবেই আমার বাবার আত্মা শান্তি পাবে।

শতভি আরো বলেন, এই সাজার রায় শোনার জন্য আমাদের দীর্ঘ দুই বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। রায় ঘোষণা হওয়ায় আমরা খুশি। তবে উচ্চ আদালতে গিয়ে যেন এই রায় কোনোভাবেই পরিবর্তন না হয় বা সাজা না কমে সেজন্য বিচার বিভাগের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

রায় ঘোষণার পর আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলী (পিপি) অ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু বলেন, এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। কারণ আসামিরা জঙ্গি ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত। পলাতক আসামি শরিফুলকে গ্রেফতারের পর তাকেসহ দুইজনের ফাঁসির রায় কার্যকর হোক, পরিবারের মত এটা আমাদেরও দাবি।

তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম বলেন, এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট না। রায়ের সার্টিফাইড কপি হাতে পেলে ৩০ দিনের মধ্যেই উচ্চ আদালতে আসামিদের পক্ষে আপিল করা হবে।

এর আগে দুপুরে রাজশাহীর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শিরীন কবিতা আখতার এক জনাকীর্ণ আদালত রায় ঘোষণা করেন। এর মাধ্যমে মাত্র দুই বছরের মাথায় চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হলো। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- প্রধান আসামি শরিফুল ইসলাম (পলাতক) ও মাসকাওয়াত হাসান ওরফে আব্দুল্লাহ ওরফে সাকিব।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নীলফামারীর মিয়াপাড়ার রহমত উল্লাহ, রাজশাহীর নারিকেলবাড়িয়া এলাকার আবদুস সাত্তার ও তার ছেলে রিপন আলী। এ সময় শরিফুল ইসলাম ছাড়া বাকি সব আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।