নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র নিযাম উল আযিমের ব্যক্তিগত (এপিএস) সহকারী মামুন অর রশিদ এবং দুই ভাই মিলে দোকান-পাট ভাংচুরের পর প্রায় কোটি টাকা মূল্যের জায়গা দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার রাতে নগরীর বর্ণালী মোড় এলাকায় অবস্থিত একটি মার্কেটের সবকটি দোকান-পাট ভাংচুর করে ওই জায়গাটি দখলের চেষ্টা করেন তারা।
পরে খবর পেয়ে রাজশাহী র্যাব-৫ এর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার পরে মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ধরে নিয়ে যায় র্যাব সদস্যরা। তবে পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর আবারো ওই মার্কেট ভাঙতে শুরু করেন মামুন এবং তার লোকজন।
জমির মালিক মসলেম উদ্দিন জানান, তিনি ২০১৫ সালে নগরীর বর্ণালী সিনেমা হলের পেছনে ৬ শতাংস জমি কিনে তার স্ত্রীর নামে দলিল করে নেন। স্থানীয় আব্দুল ও মান্নান ও হেনার নিকট থেকে ওই জমি কেনার পরতিনি সেখানে কয়েকটি দোকান ঘর নির্মাণ করে সেখানে মার্কেট তৈরী করে দেন।
কিন্তু সম্প্রতি ওই সম্পত্তি স্বল্প মূল্যে জোর করে কিনে নেওয়া হয়েছে বলে আব্দুল মান্নানের তিন ছেলে মামন, আমান এবং সামান মার্কেটটি দখল করার চেষ্টা করেন। এ নিয়ে আদালতে মামলাও চলছে। মামুন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র নিযাম উল আযিমের এপিএস। তার ক্ষমতার জোরেই বুধবার রাতে তার বাবার বিক্রি করা সম্পত্তি জোর করে দখল করতে মার্কেটের সব দোকান-পাট ভাঙতে শুরু করেন।
এরপর সকালে আবারো শ্রমিক নিয়ে গিয়ে ওই মার্কেটটি ভাঙতে শুরু করেন। এসময় তারা মার্কেটের সমস্ত আসবাবপত্র ভাংচুর করে বাইরে ফেলে দেন। এ ঘটনার পরে জমির মালিক মসলেম উদ্দিন নগরীর বোয়ালিয়া থানাসহ র্যাব রাজশাহী-৫ সদর দপ্তরে গিয়ে অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে র্যাবের একটি দল এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মামুনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায়।
তবে পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হলে আবারো ওই মার্কেট ভাঙতে শুরু করেন মামুন এবং তার লোকজন।
জমির মালিক মসলেম উদ্দিন অভিযোগ করে সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, ক্ষমতার জোরে মামুন, আমান এবং সামান মিলে আমার প্রায় কোটি টাকা মুল্যের জায়গাটি বারবার জোর করে দখলের চেষ্টা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় তারা রাতের আধাঁরে মার্কেটের সব দোকান পাটের তালা ভেঙে লুটপাট চালিয়েছে। আসবাবপত্রও বাইরে ছুড়ে ফেলে দেয়। এছাড়াও তারা অব্যাহতভাবে হুমকি দিয়ে আসছে আমাদের। এতে আমরা চরম শঙ্কার মুখে আছি।’
স/আর