বাংলাদেশ জাতীয় কর্তৃপক্ষ, রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশন (বিএনএসিডব্লিউসি)-এর ১৭তম সাধারণ সভা ৯ আগস্ট ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে ঢাকা সেনানিবাসস্থ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিএনএসিডব্লিউসি’র চেয়ারম্যান ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সভাপতিত্ব করেন।
আইএসপিআর জানিয়েছে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থা হতে সর্বমোট ৪২ জন সদস্য সভায় অংশগ্রহণ করেন। সভায় বিএনএসিডব্লিউসি’র বর্তমান কাজগুলো পর্যালোচনা করা হয় এবং বাংলাদেশে রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশন (সিডব্লিউসি) কার্যকরীভাবে বাস্তবায়নের জন্য ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
ক্রমবর্ধমান শিল্পায়নের ফলে দেশে রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলশ্রুতিতে রাসায়নিক দূর্ঘটনার হারও বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই প্রেক্ষাপটে দূর্ঘটনা মোকাবেলায় সাড়াদানকারী সংস্থাসমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধির ব্যাপারে চেয়ারম্যান গুরুত্বারোপ করেন।
এছাড়াও বাংলাদেশে কার্যকরী রাসায়নিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে একটি সমন্বিত জাতীয় নীতিমালা ও কাঠামোর প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে সভায় আলোচনা করা হয়। সিডব্লিউসিকে কার্যকরীভাবে বাস্তবায়নের জন্য এবং দেশে রাসায়নিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা আরো সুসংহতকরণের জন্য বর্তমানে প্রচলিত আইন বা বিধিমালা/নীতিমালাসমূহের প্রয়োজনীয় ও যুগোপযোগী সংশোধনের ব্যাপারে সবাই মত প্রকাশ করেন।
রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশন সংক্রান্ত আইন ও বিধিমালাসমূহ দ্রুত ও কার্যকরীভাবে বাস্তবায়নের জন্য রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ আইন, ২০০৬’-কে ‘মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯-এ অন্তর্ভূক্ত করার ব্যাপারে সভায় আলোচনা করা হয়। দেশে তফসিলভুক্ত রাসায়নিক দ্রব্যের আমদানিরপ্তানিকে আরো সুসংহতকরনের জন্য নির্দিষ্ট কিছু বন্দরের মাধ্যমে আমদানি রপ্তানি করার ব্যাপারে চেয়ারম্যান মত প্রকাশ করেন।
করোনাকালে অনলাইনে বিএনএসিডব্লিউসি কর্তৃক সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ এবং অন্যান্য কার্যক্রমগুলো চলমান রাখার বিষয়ে চেয়ারম্যান দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সবশেষে, বাংলাদেশে তফসিলভুক্ত রাসায়নিক দ্রব্য সংক্রান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সবাইকে একযোগে কাজ করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করে সভাপতি সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ
