রাষ্ট্রের চিরশত্রু সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদ: ইনু

বাংলাদেশ রাষ্ট্রের চিরশত্রু সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদ নির্মূল করে সুশাসন ও সমাজতন্ত্রের পথে এগিয়ে যেতে হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি এবং সংসদ সদস্য হাসানুল হক ইনু।

আজ রবিবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাসদের ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বাংলাদেশকে আরেকধাপ এগিয়ে নিতে রাষ্ট্রের চিরশত্রু ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িকতা-মৌলবাদ-জঙ্গিবাদ নির্মূল করে সাম্প্রদায়িক হামলা পুনরাবৃত্তি চিরতরে বন্ধ করে রাজনৈতিক ও সামাজিক শান্তি নিশ্চিত করা, দুর্নীতিবাজ-লুটেরা-দলবাজ ও গুণ্ডাদেরকে রাজনৈতিক দল ও প্রশাসনের ছায়া থেকে বের করে দেয়া, বিচারহীনতার সংস্কৃতির অবসান করে অপরাধী যেই হোক তাদের বিচার ও শাস্তি সম্মুখিন করতে সুশাসন ও আইনের শাসন নিশ্চিত করা, মুক্তবাজার অর্থনীতির ভ্রান্ত ধারণা থেকে বেরিয়ে সমাজতন্ত্রের পথে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি গণআন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

জাসদ সভাপতি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরের মাথায় দেশে গড় আয়ু, মাথাপিছু আয়, জীবনযাপনের মান বৃদ্ধি, চরম দারিদ্র্য হ্রাস, বিদ্যুতায়ন ও যোগাযোগ অবকাঠামোর সম্প্রসারণসহ দেশের আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অনেক উন্নতি হলেও ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িকতা-মৌলবাদ-জঙ্গিবাদ; দুর্নীতি ও লুটপাট; দলবাজি ও গুণ্ডাতন্ত্র; আর্থসামাজিক বৈষম্য-এই চারটি বিপদ প্রতিনিয়ত বড় হয়ে উঠছে। এরা রাষ্ট্রের অস্তিত্বের ভিত্তিকে আঘাত করছে। সংবিধান-আইনকানুন রাজনৈতিক নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করছে, বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে।

হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জাসদের কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট রবিউল আলম, স্থায়ী কমিটির সদস্য মেশাররফ হোসেন, অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, সহসভাপতি মীর হোসাইন আখতার, আফরোজা হক রীনা, নুরুল আখতার, ফজলুর রহমান বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাদের চৌধুরী, সহ-সভাপতি মো. শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।

আলোচনাসভা শেষে একটি মশাল মিছিল শিখা চিরন্তনে গিয়ে শেষ হয়। এছাড়া দিবসের অন্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল ভোর ৬টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলণ এবং বেলা সাড়ে ১১টায় শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে দলের শহীদ ও প্রয়াত নেতাদের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ