‘ক্রিকেটাররা বলছে আয়নায় নিজের দিকে তাকাতে, কারা তাকাবে?

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে পরাজয়ের জন্য মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসানের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন তুলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

এরপর ওমান ও পাপুয়া নিউগিনিকে হারিয়ে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে উঠে বাংলাদেশ দল। পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে ১৮১/৭ রান করে ৮৪ রানের জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে সমালোচকদের স্বাস্থ্যকর সমালোচনার পরামর্শ দেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

বিশ্বকাপ চলাকালীন অধিনায়কের ওই বক্তব্য নিয়ে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ওদের এ প্রতিক্রিয়া কি বোর্ডকেই দিল, নাকি বোর্ড প্রেসিডেন্টকে দিল! বলেছে- আয়নায় নিজের দিকে তাকাতে৷ এখন আয়নায় কারা তাকাবে? বোর্ড প্রেসিডেন্ট তাকাবেন, নাকি বোর্ড পরিচালকরা তাকাবেন? ওদের ভাবা উচিত ছিল, লোকে যাই বলুক আমরা জানি আমরা ভালো দল৷ আমরা ভালো ক্রিকেট খেলে ফিরে আসব৷

পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে ম্যাচ শেষে মাহমুদউল্লাহ বলেছিলেন, আমাদেরও সবকিছু স্পর্শ করে। আমরাও মানুষ। আমাদেরও অনুভূতি কাজ করে। আমাদের পরিবার আছে। আমাদের বাবা-মায়েরা টিভির সামনে বসে থাকে আমাদের খেলা দেখার জন্য। সন্তানেরা থাকে। তারা মন খারাপ করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তো এখন সবার নাগালে। সবারই মোবাইল ফোন আছে।

তিনি আরও বলেন, সমালোচনা তো হবেই। আমরাও সমালোচনা আশা করি। খারাপ খেললে সমালোচনা হবেই। কেন হবে না? কিন্তু সমালোচনার মাধ্যমে যখন কাউকে ছোট করা হয়, সেটিই খুব খারাপ লাগে।

রিয়াদ বলেন, অনেক প্রশ্ন এসেছে আমাদের স্ট্রাইক রেট, আমাদের তিন সিনিয়র ক্রিকেটারের স্ট্রাইক রেট ইত্যাদি নিয়ে। আমরা তো চেষ্টা করি। আপ্রাণ চেষ্টা করি। এমন নয় যে আমরা চেষ্টা করিনি। হয়তোবা ফল আমাদের পক্ষে আনতে পারিনি। সমালোচনা তো হবেই। কিন্তু এ সমালোচনা যেন স্বাস্থ্যকর হয়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জার্সিটা যখন গায়ে তুলি, আমাদেরও অনুভূতি হয়। দেশের জন্য সবই থাকে। ব্যথা থাকে, কারও অনেক ধরনের ইনজুরি থাকে। আমরা ওগুলো নিয়েই খেলি৷ দিনের পর দিন ব্যথানাশক ওষুধ খেয়েও খেলি। ভেতরের খবর অনেকেই জানে না। তো আমার মনে হয় এগুলো নিয়ে মন্তব্য করা ঠিক নয়। কমিটমেন্ট নিয়ে প্রশ্ন তোলাও উচিত নয়।

 

সূত্রঃ যুগান্তর