রাশিয়ার তেলে নিষেধাজ্ঞার চিন্তা, শেয়ারবাজারেও বড় পতন

রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। অন্যদিকে চলমান যুদ্ধে প্রভাব পড়েছে সরবরাহ ব্যবস্থায়। ফলে তেলের দাম ১৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাপী শেয়ারবাজারেও বড় পতন দেখা গেছে। সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

জানা গেছে, সম্প্রতি ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলাকে কেন্দ্র করে জ্বালানি সরবরাহে সংকটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। লাফিয়ে বাড়ছে জ্বালানির দাম। ফলে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যা ক্ষতিগ্রস্ত করবে সামগ্রিক অর্থনীতিকে।

এরই মধ্যে বড় পতন দেখা গেছে শেয়ারবাজারগুলোতে। বাজারের শুরুতেই হংকং এর হ্যাং সেং সূচক পাঁচ শতাংশ কমেছে। সবশেষ এটির সূচক তিন দশমিক চার শতাংশে নেমেছিল। জাপানের নিক্কেই ২২৫ সূচক ধাক্কা খেয়েছে তিন দশমিক ছয় শতাংশ। দক্ষিণ কোরিয়ার কোস্পির সূচক কমেছে দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ। চীনের সাং হাই কম্পোজিট হারিয়েছে এক শতাংশ।

অন্যদিকে যুক্তারাষ্ট্রের ডাও ফিউচার এক দশমিক তিন শতাংশ বা ৪৫০ পয়েন্ট কমেছে। তাছাড়া এসঅ্যান্ডপি৫০০ ও নাসদাকের কমেছে যথাক্রমে এক দশমিক ছয় শতাংশ ও দুই শতাংশ।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এক সাক্ষাতকারে বলেন, রাশিয়াকে আরও শাস্তি হিসেবে দেশটির তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

এদিকে, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলাকে কেন্দ্র করে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। রাশিয়ার ওপর একের পর এক কঠোর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে পশ্চিমা বিশ্ব। বিশেষ করে মস্কোর আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে সামরিক অভিযান শুরু করে প্রেসিডেন্ট পুতিন সরকারের নিরাপত্তা বাহিনী। তাদের প্রতিহত করতে ঝাঁপিয়ে পড়ে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নিরাপত্তা বাহিনীও। দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে।

 

সূত্রঃ জাগো নিউজ