রাম রহিমের শিষ্যের ডেরায় মধুচক্রের সন্ধান

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

সবই আছে। একেবারে যেন রাম রহিম বাবার ডেরা। তবে এই কুটুরিতে ‘বাবা’র শিষ্যদের গুরুমন্ত্র দেওয়া হত না। চলত মধুচক্রের আসর।

ভারতের হরিয়ানা নয়। কলকাতার বড়বাজারে মিলল রাম রহিমের মতো ডেরা। কাকতালীয় ভাবে এখানে মধুচক্র চালানোর অভিযোগ যার বিরুদ্ধে, সেই প্রমোদ সিংহানিয়া নিজেকে রাম রহিম বাবার শিষ্য বলেই প্রচার করত। ‘ডেরা’র সন্ধান মিলতেই অবশ্য দিব্যি গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত।

বড়বাজার থানার কাছে ৪ নম্বর শম্ভুনাথ মল্লিক লেনে একটি চারতলা বাড়িতেই এই মধুচক্রের আসর চলত বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।

ওই বাড়ির বিভিন্ন ঘরের মাঝের ফাঁকা জায়গা কাঠ দিয়ে ঘিরে ২৬টি ছোট কুঠুরির মতো ঘর তৈরি করেছিল এই প্রমোদ। সেখানেই বাইরে থেকে নারী এনে মধুচক্রের আসর চালানো হত। অনেকদিন ধরেই ওই ঘরগুলি সম্পর্কে স্থানীয় বাসিন্দাদের মনে বিভিন্ন রকম প্রশ্ন ছিল। কিন্তু সব প্রশ্নের উত্তর মেলে গত ২৫ ডিসেম্বর।

বাসিন্দারা জানিয়েছে, ১৫ ডিসেম্বর ওই কুঠুরির মতো ঘরের মধ্যে এক যুগলকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা যায়। তারপর লোকজন জড়ো করে বাসিন্দারা হানা দিলে প্রমোদ পালিয়ে যায়। কুঠুরির ভিতরে ঢুকে স্থানীয় বাসিন্দারা দেখেন, ঘরের ভিতর থেকে গোপনে যাতায়াত করার জন্য সুড়ঙ্গ রয়েছে। ওই সুড়ঙ্গ পথেই মধুচক্রের সঙ্গে যুক্ত নারী ও পুরষদের যাতায়াত ছিল বলে মনে করছেন এলাকাবাসীরা।

যদিও পুলিশের বক্তব্য, প্রমোদের এই কারবার সম্পর্কে তাদের কাছে আগে কেউ অভিযোগ করেননি। ওই বহুতলে সে গোপন কুঠুরি তৈরি করে সন্দেহজনক কার্যকলাপ করছে তাও কেউ অভিযোগ করেনি।

পুলিশ সূত্রে খবর, ওই জায়গায় বেআইনিভাবে জায়গা দখল করে ঘর ভাড়া দেওয়ার কারবার চালানোর জন্য বহুতলের ব্যবসায়ীরা তার উপর ক্ষিপ্ত ছিল। অন্য একটি অংশ প্রমোদকে সরিয়ে ওই ঘরগুলি দখল করে ঘর ভাড়া দিতে চাইছিল। ওই অফিসারের বক্তব্য, ‘‘অন্য কোনও স্বার্থে এই ধরনের কথা রটানো হচ্ছে কিনা দেখা হচ্ছে।