রাম রহিমের ধর্ষণ থেকে রেহাই পেতে ঋতুস্রাবের অজুহাত করত মেয়েরা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ধর্ষণের মামলায় জেলে যাওয়া রাম রহিম যে বহু মহিলাকেই যৌন নিগ্রহ করেছেন, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। বর্তমানে রোহতক জেলে রয়েছে সেই ধর্ষক ‘বাবা’। এমনকি চিকিৎসকেরা তাকে যৌন নেশায় মত্ত বলেও উল্লেখ করেছে। তবে সম্প্রতি ডেরার এক সাধ্বী জানিয়েছেন, দিনের পর দিন ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর শেষের দিকে ডেরার মেয়েরা ঋতুস্রাবের অজুহাত দিতে শুরু করেছিল।

সূত্রে খবর, প্রত্যেকদিন রাত ১১টায় গুরমিত রাম রহিম ডেরার কোনও এক মেয়েকে নিজের ‘গুফা’য় অর্থাৎ বেডরুমে ডেকে পাঠাল। মাটির তলায় এক গোপন ঘরে চলত বাবার যৌন নিগ্রহ। ডেরার এক সাধ্বী যিনি কোনও ক্রমে ‘বাবা’র হাত থেকে পালিয়ে বেঁচেছিলেন তিনি জানিয়েছেন, ঋতুস্রাব হচ্ছে বলে বাবার হাত থেকে ছাড় পেয়েছিলেন তিনি।

তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রথমবার বাবা’র গুফায় গিয়ে তিনি বুঝতে পারেন যে ‘বাবা’র আসল উদ্দেশ্যটা ঠিক কি। তিনি জানিয়েছেন, তিনি দেখেছিলেন বাবা বিছানার উপর বসে পর্ন ভিডিও দেখছে। এরপর ‘বাবা’ তাঁকে পাশে বসতে বলে। কিন্তু ওই মহিলা বলেন, যে তাঁর ঋতুস্রাব চলছে তাই তিনি বাবার কাছে যেতে পারবেন না। এরকমভাবে অনেকেই নাকি অজুহাত খাড়া করতে শুরু করেছিলেন ধর্ষণ থেকে রেহাই পেতে।

অন্যদিকে, ডেরা থেকে পালিয়ে আসা রাধিকা জানিয়েছেন, ধর্ষক রামরহিম সারারাত নাচ করত৷ রাতে ৪-৫বার পোশাক বদলে ফেলত রামরহিম৷ নিজে গান করত, স্কুলের বাচ্চারাও নাচ করত৷ এর জন্য টিকিট লাগত৷ এই টিকিটের মূল্য সাত হাজার থেকে শুরু হত৷ গুরমিতের যত কাছে ভক্তরা যেতে চাইবে, ততই বেশি দিতে হত টিকিটের মূল্য৷ আর তা ১ থেকে ৮ লক্ষ পর্যন্ত পৌঁছে যেত৷

২০০৭ সালে যখন সিবিআই কেস হয় গুরমিতের বিরুদ্ধে, তার ভয় ছিল, কুমারী এই সাধ্বীরা সংবাদমাধ্যমের সামনে বেফাঁস যাতে কিছু না বলে দেয়, তার জন্য তখন সাধ্বীদের বাসস্থান বদলে দেওয়া হয়৷ এদের সঙ্গে যাতে বাইরের কেউ দেখা না করতে পারে সেই ব্যবস্থাও করা হয়েছিল৷ পরিবারের সদস্যরা কখনও কখনও দেখা করতে আসত৷কলকাতা 24