রামেক হাসপাতালে দ্বিতীয় বারের মতো থেরাপিউটিক প্লাজমা এক্সচেঞ্জ সম্পন্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে দ্বিতীয় বারের মতো থেরাপিউটিক প্লাজমা এক্সচেঞ্জ (Plasma Exchange (TPE) করা হলো কলেজ পড়ুয়া নাটোরের গুরুদাসপুরের এক রোগীর। গত পরশু (বুধবার) যখন এটা শুরু করেছিলেন চিকিৎসকরা, তখন রোগীর Respiratory Involvement শুরু হয়েছিল।

দুই পা একেবারেই তুলতে পারছিল না। তবে প্রথমবার Plasma Exchange করার পরই গতকাল দু পায়ের নড়াচড়া শুরু করেছে। খানিকটা উঠাতে পারছে। শ্বাসকষ্ট কমেছে। যেহেতু এটা সাধারনত পা থেকে উপরের দিকে উঠতে থাকে ( Ascending Paralysis) (প্রায় ৮০%) তাই, এটার চিকিৎসা দ্রত শুরু করতে পারলে Life Support ( Ventilator/ Tracheostomy ইত্যাদির প্রয়োজন হয় না। তাহলে দীর্ঘদিন আইসিইউতে থাকতে হয় না। মৃত্যুর হার কমে যায়।

কিন্তু, আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ এ অসুখ হলে কবিরাজ বা ঝাড় -ফুক/ হুজুর দের কাছে গিয়ে সময় নষ্ট করে থাকে, উনারা মনে করেন, এটা বাতাসের/ জ্বীন -পরীর রোগ, এটাতে ডাক্তার সাহেবগন কিছু করতে পারে না।

ওই রোগীও কবিরাজের নিকট অপচিকিৎসা নেয়ার প্রায় ১ সপ্তাহ পর হাসপাতালে আসে। তাও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোলোজী চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে।
গতকাল ২য় বার এটা করার সময় ছুটির দিন হওয়া সত্বেও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডাঃ শামীম ইয়াজদানী নিজে উপস্থিত থেকে আইসিইউ চিকিৎসক, নার্স ও অন্যদের উৎসাহিত করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইসিইউ ইনচার্জ মোস্তফা কামাল।
স/আর