রামেক হাসপাতালে এবার চিকিৎসকদের নির্দেশে আনসাররা পেটালো শিক্ষককে

নিজস্ব প্রতিবেদক:


রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে লাঞ্ছিতের শিকার হলেন রাজশাহীর বঙ্গবন্ধু কলেজের রিপন নামের এক শিক্ষাক। আজ শুক্রবার বেলা ১২ টার দিকে রামেক হাসপাতালের চার নম্বর ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে।

রিপনের অভিযোগ রামেক হাসপাতালের চিকিৎসকরা চিকিৎসা দেবার সময় তার সাথে দুর্ব্যবহার করেছে। এছাড়া ওয়ার্ডের সিএ এবং রেজিস্ট্রার ও ইন্টার্নরা মিলে আনসার ডেকে ওই রোগীকে মারপিট করা হয়। শেষে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, ভুক্তভোগী শিক্ষক মো. মামুন-অর-রশীদ। তিনি রাজশাহীর বঙ্গবন্ধু কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক। কিডনিজনিত অসুখে গতকাল সকালে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন।

ভুক্তভোগী শিক্ষকের অভিযোগ, সকালে ওয়ার্ডে বিছানা পরিবর্তন করা নিয়ে শিক্ষক মামুনের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন ওয়ার্ডে দায়িত্বরত এক নার্স। দুপুরে চিকিৎসকদের একটি দল ওয়ার্ড পরিদর্শনে আসে। ওই সময় শিক্ষক মামুনের তার এক চিকিৎসক বন্ধুর পরিচয় দেওয়ায় চিকিৎসক দলটির সঙ্গে তার বাকবিত-া হয়। এ সময় চিকিৎসক দলটির প্রধান শিক্ষক মামুনকে গালিগালাজ করেন এবং নাম-পরিচয় লিখে নিয়ে তাকে দেখে নেওয়ার হুমকিও দেন। এর কিছুক্ষণ পর ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তিনজন আনসারকে নিয়ে এসে শিক্ষক মামুনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। পরে চিকিৎসককে হুমকি এবং নার্সদের সঙ্গে অশ্লীল ব্যবহার করার অভিযোগ তুলে বাধ্য করে শিক্ষক মামুনের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে চলে যায় তারা। এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করবেন বলেও জানান শিক্ষক মামুন।

এ বিষয়ে রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক সাইফুল ফেরদৌস গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, আমার কাছে এ বিষয়ে কেউই এখনও অভিযোগ করেনি। আমি এইমাত্রই কয়েকজনের কাছে এ ব্যাপারে শুনলাম। খোঁজ নিয়ে দেখছি।

এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর স্ত্রীর চিকিৎসা করাতে গিয়ে লাঞ্ছনার শিকার হন রাজশাহীর মুক্তিযোদ্ধা ইসাহাক আলী। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের হাতে মারধরের শিকার হয় তার ছেলে রাকিবুল হাসান। পরে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কাছে লিখিত ক্ষমা চাওয়ার পর হাসপাতাল থেকে স্ত্রীর লাশ নিয়ে যেতে সক্ষম হন মুক্তিযোদ্ধা ইসাহাক আলী।