রামেক হাসপাতালের বর্হিবিভাগে নারীর সঙ্গে ফূর্তি করতে গিয়ে চিকিৎসক ধরা , তারপর…

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বর্হিবিভাগের দায়িত্বরত নাক, কান গলা বিভাগের একজন চিকিৎসক গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরে এক নারীকে নিয়ে ফূর্তি করতে গিয়ে পুলিশের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়েন বলে অভিযোগ উঠে। কিন্তু পরে অনেক দেন-দরবার করে ওই চিকিৎসককে কাউকে কিছু না জানিয়ে হাসপাতালের ইনচার্জ ছেড়ে দেন।

  • পারিবারিক ও সামাজিক মর্যদার বিষয়টি বিবেচনা করে ওই চিকিৎসকের নাম-পরিচয় তুলে ধরা হলো না। 

এ নিয়ে হাসপাতালজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ওইচিকিৎসকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এএফএম রফিকুল ইসলাম।

  • তিনি সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, ‌’আমার কাছে এ নিয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। তবে আমি বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।’

অন্যদিকে অভিযুক্ত ওই চিকিৎসক সিল্কসিটি নিউজের কাছে দাবি করেন, ছোট্ট একটি ভুল-বুঝাবুৃঝিকে কেন্দ্র করে এই ধরনের কথা ছড়ে বেড়াচ্ছে। আসলেই তেমন কিছু হয়নি।’

  • প্রত্যক্ষদর্শীরা সিল্কসিটি নিউজকে জানায়, গত মঙ্গলবার ইফতারের কিছুক্ষণ আগে এক নারীকে নিয়ে রামেক হাসপাতালের বর্হিবিভাগের অফিসে প্রবেশ করেন ওই চিকিৎসক। তখন গোটা বর্হিবিভাগ ছিল ফাঁকা। এরপর ইফতার পরে ওই নারীকে নিয়ে ফূর্তি করতে থাকেন তিনি। কিন্তু এরই মধ্যে বিষয়টি টের পায় হাসপাতালের পুলিশ বক্সের সদস্যরা।

খবর পেয়ে পুলিশ বক্সের ইনচার্জ শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গিয়ে বর্হিবিভাগের নাক কান গলা বিভাগের ওই অফিসটি বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেন। এরপর বিপাকে পড়ে ওই চিকিৎসক পুলিশের সঙ্গে শুরু করেন দেন-দরবার।

  • শেষে মোটা অংকের অর্থ নিয়ে ওই চিকিৎসক এবং নারীকে ছেড়ে দেন পুলিশ বক্সের ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম। তবে ওই ঘটনাগুলোর ভিডিও ধারণ করে ফেলে স্থানীয় এক যুবক। পরে ওই ভিডিও  কয়েক জনের কাছে ছড়িয়ে পড়ে। তবে আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হয়।

এ নিয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের পুলিশ বক্সের ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম বিষয়টি স্বীকার করেন, তবে ওই নারীর নিকট থেকে কোনো অভিযোগ না পাওয়ায় চিকিৎসককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। কোনো উৎকোচ নেওয়া হয়নি বলেও তিনি দাবি করেন।

স/আর