বৃহস্পতিবার , ২২ জুন ২০১৭ | ২৭শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

যে কারণে টানা বজ্রপাত, কাড়ছে প্রাণ

Paris
জুন ২২, ২০১৭ ১০:০৫ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

মৌসুমি বায়ু স্থিতিশীল না হওয়ায় গত কয়েকদিন টানা বজ্রপাতের ঘটনা ঘটছে বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। গত ১৯ জুন পিরোজপুরে একটানা দুই ঘণ্টার বজ্রপাতে ভীতি ছড়িয়েছে জনমনে। আর ১ জুন থেকে কয়েকদিনের বজ্রাঘাতে নিহতের সংখ্যা জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। এ অবস্থায় বন্যা, সাইক্লোন ও ভূমিকম্প ছাড়াও বর্তমানে বজ্রপাতকে দুর্যোগ হিসেবে বিবেচনায় আনা হচ্ছে।

আবহাওয়া বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘প্রতি বছর মে মাসে যে হারে মানুষ বজ্রাঘাতে মারা গেছে, তা চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ বজ্রপাত বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তন ও গ্রামে বড় গাছের সংখ্যা কমে যাওয়াকে দায়ী করছেন তারা।

গত কয়েক বছরে বজ্রাঘাতে মৃতের সংখ্যা বেশি। ফলে ২০১০ সাল থেকে বজ্রপাতকে আলাদাভাবে দুর্যোগ হিসেবে বিবেচনা করে এই সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। পিরোজপুরে গত সোমবার (১৯ জুন) একটানা দুই ঘণ্টা বজ্রপাতের ঘটনা ঘটেছে। ওইদিন দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে শুরু হয়ে বিকাল পৌনে ৪টার দিকে থামে। প্রথম দিকে আওয়াজ কম হলেও পরে এর মাত্রা আরও বাড়তে থাকে। একইভাবে রবিবার (১৮ জুন) রাতেও রাজধানী ঢাকাতে একইরকম পরিস্থিতি দেখা গেছে।

গবেষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশে গড়ে ৮০ থেকে ১২০ দিন বজ্রপাত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট অব জিওগ্রাফির অধ্যাপক ড. টমাস ডব্লিউ স্মিডলিনের ‘রিস্কফ্যাক্টরস অ্যান্ড সোশ্যাল ভালনারেবিলিটি’ শীর্ষক গবেষণা থেকে দেখা গেছে, প্রতিবছর মার্চ থেকে মে পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রতি বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ৪০টি বজ্রপাত হয়। বছরে মাত্র দেড়শ’র মতো লোকের মৃত্যুর খবর বাংলাদেশের পত্রিকায় ছাপা হলেও আসলে এ সংখ্যা পাঁচশ’ থেকে এক হাজার।

দুর্যোগ ফোরামের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৫ সালে বজ্রাঘাতে ২৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে মে মাসে। এই মাসে মোট ৯১ জন মারা যান। ২০১৬ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বজ্রাঘাতে নিহতের সংখ্যা ২৭০ জন। এর মধ্যে মে মাসেই ১৩৩ জন। ২০১৭ সালে এখনই বজ্রাঘাতে নিহতের সংখ্যা ১৪৬ জন। এর মধ্যে জুনে মারা গেছেন ৬৭ জন।

বাংলাদেশে গড়ে ৮০ থেকে ১২০ দিন বজ্রপাত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট অব জিওগ্রাফির অধ্যাপক ড. টমাস ডব্লিউ স্মিডলিনের ‘রিস্কফ্যাক্টরস অ্যান্ড সোশ্যাল ভালনারেবিলিটি’ শীর্ষক গবেষণা থেকে দেখা গেছে, প্রতিবছর মার্চ থেকে মে পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রতি বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ৪০টি বজ্রাপাত হয়। বছরে মাত্র দেড়শ’র মতো লোকের মৃত্যুর খবর বাংলাদেশের পত্রিকায় ছাপা হলেও আসলে এসংখ্যা পাঁচশ’ থেকে এক হাজার।

দুর্যোগ ফোরামের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৫ সালে বজ্রাঘাতে ২৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় মে মাসে। এই মাসে মোট ৯১ জন মারা যান। এর মধ্যে মে মাসের ২ তারিখে ১৯ জন, ৭ তারিখে ১৮ জন এবং ১৫ তারিখে ১৪ জন মারা যান।

২০১৬ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বজ্রাঘাতে নিহতের সংখ্যা ৪৮ জন। এর মধ্যে ১৪ শিশু ও ৩১ জন পুরুষ। ২০১০ থেকে গত ছয় বছরের হিসাব অনুযায়ী, একেবারেই নজর না দেওয়া এই দুর্যোগে নিহতের সংখ্যা প্রায় এক হাজার।

বজ্রপাত নিয়ে গবেষণা করছেন আবহাওয়া অধিদফতরের সাবেক পরিচালক ড. সমরেন্দ্র কর্মকার। তিনি বলেন, ‘গত তিন চার বছরে বজ্রপাত বেশি বলে মনে হচ্ছে। বায়ুমণ্ডলের বিন্যাসে তারতম্য ঘটে থাকতে পারে। মৌসুমি বায়ু স্থিতিশীল হয়ে গেলে আর এমন ঘটবে না। মৌসুমি বায়ু যখন আসে তখন তা স্থিতিশীল হতে আট থেকে ১০ দিন সময় লাগে। পূবালি ও পশ্চিমা বাতাস ফাইটিং শুরু করলে কনফ্লিক্ট তৈরি হয় ও বজ্রপাত ঘটে।’

দুর্যোগ ফোরামের মেহেরুন্নেসা ঝুমুর বলেন, ‘আমরা পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে মৃত্যুসংখ্যা নির্ধারণ করে থাকি। বাস্তবতা হচ্ছে এ সংখ্যা আরও বেশি। বজ্রপাত কোন সময় হয় এবং ওই সময় করণীয় কী, সেসব নিয়ে তেমন কোনও সচেতনতামূলক কর্মসূচি দেখা যায় না।’

মেহেরুন্নেসা ঝুমুর আরও বলেন, ‘বড় গাছের অভাব বজ্রঘাতে মৃত্যুর একটা কারণ হতে পারে। শহরাঞ্চলে ঘরবাড়ি বেশি হলেও সেখানে বজ্রনিরোধক ব্যবস্থা থাকায় বজ্রাঘাতে হতাহতের ঘটনা কম। কিন্তু গ্রামে এই নিরোধক হিসেবে কাজ করতো যে বড় বড় গাছ, তার সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। ফলে গ্রামাঞ্চলে বজ্রাঘাতে প্রাণহানি বেশি ঘটতে দেখা যায়। সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক