রাবি শিক্ষার্থী মারধরের ঘটনায় নারীসহ ৩জন কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাবি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রকে মারধর ও ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় করা মামলায় স্থানীয় এক মেয়ে ও দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার নগরীর মতিহার থানা পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। পরে বিকেলে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে গত রবিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিহাব আল কুরাইশ (২০) নামের এক শিক্ষার্থী বাদী হয়ে মতিহার থানায় স্থানীয় রবি, শান্ত, সিরাজুল, উষা, শিপন, জনিসহ অজ্ঞাতনামা বেশ কয়েকজনকে আসামি করে থানায় নারী নির্যাতন ও হামলার অভিযোগে মামলা করেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন রবিউল ইসলাম (২৯), সিরাজুল ইসলাম (২৫) ও ঊষা (২০)। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মীর্জাপুর এলাকার বাসিন্দা। রবিউলের নামে আরও সাতটি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ভুক্তভোগীরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী শোভন, দুই ছাত্রী ও লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী নাইম।

মামলার এজাহারে বলা হয়, রবিবার রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেট সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানে কয়েকজন বন্ধু মিলে আড্ডা দিচ্ছিলাম। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন যুবক আমাদের দুই বান্ধবীকে অশ্লীল মন্তব্য করেন। এর প্রতিবাদ করায় তারা স্ট্যাম্প দিয়ে আমাদের মারধর করে। এতে নাঈম কানে এবং শোভন মাথায় আঘাত পায়। হামলাকারীদের মধ্যে দুজন আমাদের দুই বান্ধবীর ওড়না কেড়ে নেয় এবং শরীরে হাত দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে আশেপাশের লোকজন জড়ো হলে তারা পালিয়ে যায়।

এদিকে, মারধরের ঘটনায় গতকাল দুপুরে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে আইবিএ’র শিক্ষার্থীরা। মিছিল শেষে তারা ক্যাম্পাসের গ্রন্থাগারের সামনে মানববন্ধন করেন। সেখানে শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রতিনিয়ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বহিরাগতদের দ্বারা হামলা, ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছে। পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশসান এ বিষয়ে কার্যত কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এজন্য বখাটেরাও দেধারছে এসব অপকর্ম ঘটিয়ে চলছে।

জানতে চাইলে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

স/অ