রাবি শিক্ষার্থীকে রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মাথা ফাটাল স্থানীয়রা

রাবি প্রতিনিধি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীকে রড ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে মাথা ফাটানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয়দের বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার (০৭ মার্চ) সকাল ৯ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প¦ার্শবর্তী বিনোদপুর এলাকার আমজাদের মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে আহতাবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।

আহত শিক্ষার্থীর নাম সৈয়দ রাফিউল কবির শান্ত। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। তিনি বিনোদপুরের আমজাদের মোড় এলাকায় মায়ের আঁচল নামের একটি বাসায় থাকেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও তাঁর সহপাঠীরা জানান, গতকাল সোমবার (০৬ মার্চ) রাতে আমজাদের মোড়ে মায়ের আঁচল নামের একটি মেসে তারা নিজেদের কক্ষে খালি গলায় গান গাচ্ছিলেন। এমন সময় বাহিরে থেকে স্থানীয় কয়েকজন এসে তাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে যায়। এক পর্যায়ে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তারা। এসময় স্থানীয়রা তাদেরকে ‘কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবি’ বলে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। পরে আজ সকালে রাফিউল কবির শান্ত ও শুভ ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে মেস থেকে বের হলে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় স্থানীয় কয়েকজন। এসময় তারা রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে শান্তের মাথা ফাটিয়ে দেয়। পরে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সহপাঠী ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী গোলাম মোস্তফা শুভ বলেন, গতকাল আমাদের কক্ষের সামান্য গান গাওয়া নিয়ে স্থানীয় কয়েকজন এসে হুমকি দিয়ে যান। এছাড়া মেস থেকে বেরিয়ে ক্যাম্পাসে যাওয়ার সময় আমাদের দেখে নেওয়ার হুমকিও দেয়। পরে আজ সকালে আমি ও রাফিউল কবির শান্ত ক্যাম্পাসে যাওয়ার সময় আমাদের ওপর আক্রমণ করে। এসময় তারা রড ও স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে শান্তর মাথা ফাটিয়ে দেয়।

কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী মো. আল আমিন বলেন, গতকাল রাতের ক্ষুদ্র একটা বিষয় নিয়ে আজকে আমার বন্ধুর ওপর স্থানীয়রা হামলা চালায়। এতে তার মাথা ফেটে থেতলে যায়। পরে তাকে রামেকে নিয়ে যাওয়া হয়। ইতোমধ্যে আমরা প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত করেছি। যারা এ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডটি ঘটিয়েছে তাদের যেন দ্রুত গ্রেপ্তার করা হয়। এ বিষয়ে প্রশাসন আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, এ ঘটনায় আজ দুপুরে সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থীরা আমাদের কাছে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। তাদের সাথে আমার কথা হয়েছে। পরে বিকেলে শিক্ষার্থীরা এসে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়ে যান। আমরা মতিহার থানাকে বলেছি যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনাটি জানতে পেরেছি। ভুক্তভোগীরা প্রক্টরিয়াল বডির মাধ্যমে অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।