রাবি শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগ নেতাদের মারধর

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাবি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পেছনে অবস্থিত ছাত্রলীগের দলীয় টেন্টে ওই শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয় বলে জানা গেছে।

তবে ছাত্রলীগের দাবি- ওই শিক্ষার্থী ছাত্রদল করে এবং সম্প্রতি সে ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটুক্তি করে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট করে। আর তাকে কোন ধরনের মারধর করা হয়নি।

ওই শিক্ষার্থীর নাম নাফিউল ইসলাম জীবন। সে আরবী বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। অপরদিকে অভিযুক্ত মারধরকারীরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিশু।

ঘটনার সময় সেখানে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুও উপস্থিত থাকলেও তিনি মারেননি বলে জীবন জানায়।

জীবন জানায়, মঙ্গলবার সকালে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ আমাকে ফোন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে আসতে বলেন। আমার পরীক্ষা আছে জানিয়ে আমি তার সঙ্গে দেখা করিনি। পরে পরীক্ষা শেষ হলে ইমতিয়াজ আমাকে আবার ফোন দেয় এবং ছাত্রলীগের টেন্টে আসতে বলে। সেখানে যাওয়ার পর তারা আমার ফেসবুক চেক করে এবং আমাকে মারধর করে।

জীবনের অভিযোগ করে বলেন, ‘ইমতিয়াজ আমার বিভাগের বড় ভাই। কোটা সংস্কার আন্দোলনে আমি সক্রিয় ছিলাম। ওই সময় ইমতিয়াজ ভাই আমাকে ক্লাস চালু রাখতে বলেছিলো। কিন্তু আমি ক্লাস বন্ধ করে দিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নিয়ে গিয়েছিলাম। তাই তারা আমাকে মারধর করেছে।’

জানতে চেয়ে গোলাম কিবরিয়া, ইমতিয়াজ আহমেদ ও মেহেদী হাসানের সঙ্গে কথা বললে তারা মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন। তারা বলেন- ‘জীবন ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। যার প্রমাণ তার ফেসবুক থেকে আমরা পেয়েছি। এ ছাড়াও সে ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে কটুক্তি করে বিভিন্ন সময় পোস্ট করেছে। আর আমরা তাকে কোন ধরনের মারধর করিনি। তাকে ডেকে সতর্ক করেছি মাত্র।’

স/অ