রাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে সাংসদের ভাইয়ের মামলা, র‍্যাবকে তদন্তের নির্দেশ

সুজিত সরকার ‘নাটোর জেলার ইতিহাস-ঐতিহ্য ও মুক্তিযুদ্ধ’ বইয়ের লেখক। মামলায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের সঙ্গে নাটোর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শাফিউল আযম স্বপনের নামও আছে। আজ মঙ্গলবার সকালে নাটোর আমলি আদালতে হাজির হয়ে সাংসদের ভাই মানহানির এই মামলা করেন।

মামলার আরজিতে বাদী বলেছেন, গত ২৫ জুলাই দুপুরে শহরের সাহারা চাইনিজ রেস্টুরেন্টে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সংবাদ সম্মেলনে শাফিউল আযম স্বপন নাটোর-২ আসনের সাংসদ শফিকুল ইসলামের বাবা ‘রাজাকার’ বলে দাবি করেন। তিনি তাঁর দাবির সমর্থনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সুজিত সরকারের লেখা ‘নাটোর জেলার ইতিহাস-ঐতিহ্য ও মুক্তিযুদ্ধ’ বইটি সাংবাদিকদের দেখান। ওই বইয়ে রাজাকারের তালিকার সাংসদের বাবা হাসান আলী সরদারের নাম রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। ওই দিন ও পরের দিন গণমাধ্যমে বিষয়টি প্রচার ও প্রকাশ হয়। এতে সাংসদের, তথা তাঁর পরিবারের সবার মানহানি হয়।

মামলার বাদীর দাবি, বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০০৯ সালে। তখন বইটিতে শুধু ‘হাসান আলী’ লেখা হয়। পরবর্তী সময়ে ২০২১ সালে বইটির দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়। বাদীর দাবি, এই সংস্করণে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পরস্পরের যোগসাজশে ও অসৎ উদ্দেশ্যে ‘হাসান আলী’র পরিবর্তে ‘হাসান আলী সরদার’ লেখেন এবং নামের পাশে তাঁর বাবার নাম উল্লেখ করেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পরিকল্পিতভাবে সাংসদের বাবার নাম রাজাকার তালিকায় প্রকাশ ও প্রচার করে তাঁদের জাতির সামনে অপমান-অপদস্থ করেছেন। মামলায় ছয়জন মুক্তিযোদ্ধাসহ সাতজনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

এর আগে গত রোববার রাতে রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানায় সাংসদ শফিকুল একই বিষয়ে অভিযোগ জমা দেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সুজিত সরকার মামলা প্রসঙ্গে আজ বিকেলে মুঠোফোনে বলেন, ‘একজন গবেষক মিথ্যাচার করেন না। আমিও মিথ্যাচার করিনি। আদালত যদি আমাকে তলব করেন, তাহলে আমি আমার গবেষণার তথ্য প্রমাণ হাজির করব।’

প্রথম আলো