রাবি ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ‘সিওয়াইবি’র কর্মসূচি 

রাবি প্রতিনিধি :
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা গতকাল শেষ হয়েছে। এর আগে গত ২৯ মে ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে এবারের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। গতকাল ৩০ মে ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা শেষ হয়েছে এবং গতকাল ৩১ মে ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে এবারের তিনদিনের ভর্তিযুদ্ধ শেষ হয়েছে।
এ ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় কনজ্যুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ (সিওয়াইবি) রাবি শাখা বিভিন্ন রকম কর্মসূচি পালন করেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে স্থায়ী ও ভ্রাম্যমাণ খাবার দোকানগুলোতে প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত খাবারের দামের তালিকা প্রদর্শন এবং খাবারের মান নিশ্চিত করা, খাবার পরিবেশনে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতকরণে তারা কাজ করেছে। এছাড়া কোনো ভোক্তার থেকে খাবারের অতিরিক্ত মূল্য নেওয়া হলে তা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সর্বোপরি, প্রক্টরের নিকট সারাদিনের কার্যক্রমের একটি রিপোর্ট দেওয়া।
এছাড়াও ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অবিভাবকদের যেকোন অভিযোগ জানাতে যোগাযোগের জন্য আহ্বান করেছে তারা। যা ভর্তি পরীক্ষার তিনদিনই চলমান ছিল।
এ বিষয়ে সিওয়াইবি রাবি শাখার সভাপতি, আবইয়াদ বিন বাজল বলেন, ‘প্রতি বছর ভর্তি পরীক্ষার সময় দেখা যায় ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী খাবারের দাম নির্ধারিত দামের চেয়ে বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে সমন্বিত মূল্য তালিকা দেওয়া হলেও তারা সে অনুযায়ী দাম নেয়না, এমনকি প্রশাসনের কোন নির্দেশনাও তারা মেনে চলে না। অনেক ক্ষেত্রে দাম বেশী নিয়েও পরিবেশন করে অস্বাস্থ্যকর খাবার। এতে করে ক্যাম্পাসে আগত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অনেক ভোগান্তিতে পড়ে যায় এবং তাদের ভোক্তা অধিকার লংঘিত হয়। এ ভোগান্তি যেন না হয় এজন্য প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে খাবারের দোকানগুলোতে খাবারের দাম ও মান নিয়ন্ত্রন, স্বাস্থ্যকর খাবার এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতকরণে কাজ করে যাচ্ছে সিওয়াইবি, রাবি শাখা। ক্যাম্পাসে ভোক্তা অধিকার নিশ্চিতকরণে আগামী দিনগুলোতেও এ ধারা আমরা অব্যাহত রাখবো।’
উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল থেকে রাবি ক্যাম্পাসে ভোক্তা অধিকার ও খাদ্যে ভেজাল নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে কনশাস কনজ্যুমারস সোসাইটি (সিসিএস) এর যুব সংগঠন সিওয়াইবি। বর্তমানে এ সংগঠনটি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহযোগী সংগঠন হিসেবে কাজ করছে।