রাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ: শিক্ষকদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন

রাবি সংবাদদাতা:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকদের দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক আখতার ফারুককে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রোজিস্ট্রার অধ্যাপক এম আব্দুল বারী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

কমিটির সদস্যরা হলেন, হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা বিভাগের অধ্যাপক মো. তাজুল ইসলাম এবং মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. আব্দুল লতিফ।

এর আগে বিভাগের সভাপতি ড. নাসিমা জামানের পদত্যাগ ও আরেক শিক্ষিকা রুখসানা পারভীনের শাস্তির দাবিতে গতকাল রোববার সকাল ৯টা থেকে বিভাগের সামনে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে তারা। তদন্ত কমিটি গঠন করায় এবং উপাচার্যের অনুরোধে কর্মসূচি স্থগিত করে ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত নেয় আন্দোলনকারী ১১ শিক্ষক। তবে একাডেমিক ও প্ল্যানিং কমিটির সভা বর্জনসহ বিভাগীয় সভাপতিকে অসহযোগিতা অব্যাহত রাখবেন তাঁরা। গতকাল কর্মসূচি শেষে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।

কর্মসূচি স্থগিতের ব্যাপারে আন্দোলনকারী শিক্ষক অধ্যাপক মো. আমিনুর রহমান বলেন, ‘সভাপতির পদত্যাগ এবং শিক্ষিকা মোছা. রুখসানা পারভীনের শাস্তির দাবিতে আমরা ১১ শিক্ষক আন্দোলনে আছি। এ ঘটনায় উপাচার্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। আর সেই কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন বলেও আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। তাই আমরা আমাদের ক্লাস-পরীক্ষা ও অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করেছি। তবে অন্যান্য কর্মসূচি চলমান থাকবে।’

অধ্যাপক এক্রাম উল্যাহ বলেন, ‘যেহেতু আমরা আমাদের জায়গায় অটল, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন বেরুলেই আসল ঘটনা সামনে আসবে। আর আমরা সেটাই চাই।’’

তবে এ ব্যাপারে উপাচার্যের সাথে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ২ আগস্ট একই অভিযোগে সভাপতির প্রতি অনাস্থা জানিয়ে উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ওই ১১ শিক্ষক। এদিকে গত ৩ আগস্ট ওই ১১ শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও অসাদাচারণের অভিযোগ করে উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক নাসিমা জামান। বিভাগের আরেক শিক্ষিকা রুখসানা পারভীন আন্দোলনকারী ১১ শিক্ষকের মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন গত ৩১ জুলাই। এ ছাড়াও ওই শিক্ষিকার নামে ১১ জন শিক্ষক অপপ্রচার চালাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন। পরে গত শুক্রবার বিভাগের ১৩ জন শিক্ষকের মধ্যে ওই ১১ শিক্ষক সংবাদ সম্মেলন করে সভাপতি ও শিক্ষিকার করা অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন। পরে গত শনিবার এক জরুরি সভা করে অধ্যাপক নাসিমা জামানের পদত্যাগ ও মোছা. রুখসানা পারভীনের শাস্তির দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে অবস্থান কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেয় তারা।

স/বি