রাবির চারুকলায় ফল বিপর্যয়, প্রধান ফটকে তালা

রাবি প্রতিনিধি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চারুকলা অনুষদের গ্রাফিক্স ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষার ফল পুর্নমূল্যায়নের দাবিতে অনুষদের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা। রবিবার (২৮ আগস্ট) সকালে অনুষদের ফটকে প্রায় দুই ঘন্টা তালা দিয়ে তারা এই আন্দোলন করেন। পরবর্তীতে উপাচার্যের আশ্বাসে তারা সাত দিনের জন্য আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গ্রাফিক্স ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভযাগে নিয়মিত ক্লাস না নিয়েও পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। পরীক্ষায় সবার ফল বিপর্যয় হয়েছে এবং পাঁচজন শিক্ষার্থীকে কৌশলে ফেল করানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। তাদের দাবি, অথচ ফেল করা কিছু শিক্ষার্থীকে যে বিষয়ে ফেল সে বিষয়ে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়ার কথা। এ বিষয়ে তারা শিক্ষকদের অবগত করেন কিন্তু শিক্ষকরা এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি। তারা আরো জানান, তাদের এমন একটি কোর্স আছে যে বিষয়ে করোনার পরে কোন ক্লাসই হয়নি। সেখানে অন্তত সবাইকে সমান চোখে দেখার কথা। কিন্তু সে কোর্সে একজনকে ফেল করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অকৃতকার্য একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘গত ৪ আগষ্ট থেকে সমস্যা নিয়ে কথা বলেছি কিন্তু প্রায় ২৪দিন ধরে ঘুরাচ্ছে। শেষপর্যন্ত আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছি। আমাদের আন্দোলনটা হচ্ছে ফলাফল পুর্নমূল্যায়ন করার জন্য। পাঁচজন শিক্ষার্থীকে কেন ফেল করানো হলো এ বিষয়টা আমরা জানতে চাই। যারা ফেল করেছে এদের জীবন থেকে একটা বছর চলে যাবে এটা আমরা মানতে পারিনা। যতক্ষণ না এ বিষয়টা সমাধান হচ্ছে ততক্ষণ আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব’।

এ বিষয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক টি এম নূরুল মোদ্দাসের চৌধুরী বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা বিভাগের শিক্ষকরা মিলে সভা করেছি। ফল বিপর্যয়ের ব্যাপারটি আমরা খতিয়ে দেখবো’।

এ বিষয়ে চারুকলা অনুষদের ডিন প্রফেসর মোহাম্মদ আলী বলেন, শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রথমে সভাপতি বা আমার কাছে কোন অফিসিয়াল অভিযোগ আসে নি। তার অভিযোগ দেয়ার আধাঘন্টার মধ্যে বিভাগের সভাপতি মিটিং ডেকেছেন এবং পরীক্ষা কমিটিকে যাচাই বাছাই করতে বলেছেন। আমরা আমাদের কার্যক্রম শুরু করেছি। আশা করা যায় দ্রুত সমস্যা হয়ে যাবে।

জি/আর