রাবির গার্ড ইনচার্জকে পিস্তলের বাট দিয়ে মাথা ফাটালো আরেক গার্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুয়ার্ড শাখার এক গার্ড সুপারভাইজারকে রাইফেলের বাট দিয়ে আঘাতের অভিযোগ উঠেছে আরেক নিরাপত্তা প্রহরীর বিরুদ্ধে। ডিউটিস্থলে না থাকার কারণ জানতে চাওয়ায় তাকে মারধর করা হয় বলে জানা গেছে।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেডিয়ামের পূর্বে অবস্থিত স্টুয়ার্ড শাখার ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ভুক্তভোগী গার্ড সুপারভাইজারের নাম শামীম আহমেদ (২৬)। অপরদিকে অভিযুক্ত প্রহরীর নাম লালন (৩৯)। তার বাড়ি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বুধপাড়া এলাকায়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, প্রত্যেক নিরাপত্তা প্রহরী তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে কিনা তা দেখার দায়িত্ব শামীম আহমেদের। মঙ্গলবার দুপুর ২টা থেকে ডিউটিতে ছিলেন তিনি। অপরদিকে দুপুর ২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিমপাড়া গ-৫ নম্বর এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন লালন। দুপুর আড়াইটার দিকে শামীম আহমেদ শহীদুল ইসলাম নামের আরেক গার্ড সুপারভাইজারকে সঙ্গে নিয়ে গার্ড চেকিংয়ে বের হন। তারা লালনকে দেখতে না পেয়ে তাকে ফোন করে কোথায় আছে তা জানতে চান। এ নিয়ে ফোনেই তাদের দু’জনের মধ্যে তর্ক হয়। পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে স্টুয়ার্ড ভবনের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন শামীম আহমেদ। এ সময় পেছন দিক থেকে এসে লালন তার কাছে থাকা রাইফেলের বাট দিয়ে শামীমের মাথায় আঘাত করে। আঘাতে শামীমের মাথা ফেটে রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। লালনের সঙ্গে একজন বহিরাগতও ছিল। বর্তমানে শামীম হাসাপাতালে ভর্তি আছেন।

স্টুয়ার্ড শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার এলাহী বক্স বলেন, আমরা বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে জানিয়েছি। শামীমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। শুনেছি তাকে ওটিতে নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের তত্ত্বাবধায়ক স্যার আজকে ছুটিতে আছেন। আগামীকাল তিনি আসলে তার সঙ্গে আমরা বসে থানা পুলিশ করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবো। এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত লালনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

জানতে চাইলে রাবি প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, বিষয়টি শুনেছি। ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে আমাকে লিখিতভাবে অভিযোগ দেওয়া হবে বলে তারা আমাকে জানিয়েছে।

স/আর