রাবির গাইবান্ধা জেলা সমিতির বরণ-বিদায়

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাবি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গাইবান্ধা জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে নবীণ শিক্ষার্থীদের বরণ ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘চেনা মাটির চেনা সুর, থাকুক বন্ধন সুমধুর’ এই স্লোগানে বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র (টিএসসিসি) মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- রাজশাহী মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি, ডিবি) আবু আহাম্মদ আল মামুন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুর রহমান সিদ্দিকী, গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল আলম সরকার, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুর রাজ্জাক সরকার, লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এএইচএম কামরুল আহসান, ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শরিফুল ইসলাম, ইনফরমেশন সায়েন্স এন্ড লাইব্রেরী ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পূর্ণিমা বণিক, এগ্রোনমী এন্ড এগ্রিকালচার এক্সটেনশন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. এ.কে.এম কনক পারভেজ প্রমুখ।

ছাত্রকল্যাণ সমিতির সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক সামিউল হক ইমুর সঞ্চালনায় এসময় বক্তারা বলেন- গাইবান্ধার শিক্ষার্থীরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কৃতিত্বের সাক্ষর রাখছে। যা অন্য জেলার জন্য দৃষ্টি স্থাপন করেছে।

এসময় বিদায়ী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তারা বলেন- আগে গাইবান্ধাকে অবহেলিত এলাকা হিসেবে ভাবা হতো। কিন্তু বর্তমানে গাইবান্ধার লোকজন দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূণ সেক্টরে কৃতিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। কাজেই আপনারা যারা এই ক্যাম্পাসে সদ্য শিক্ষাজীবন শেষ করেছেন আমরা আশা রাখবো- তারা তাদের উত্তরসূরিদের মত দেশের বিভিন্ন সেক্টরে কৃতিত্বের সাক্ষর রাখবেন।

নতুন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জীবন একজন শিক্ষার্থীর জন্য অত্যন্ত মূল্যবান সময়। একজন শিক্ষার্থী তার ভবিষ্যত জীবন কীভাবে গড়তে চান তা অনেকটা নির্ধারিত হয় ক্যাম্পাস জীবনে কতটুকু সময় জ্ঞানার্জনে ব্যয় করেন। তাই বক্তারা তাদেরকে ক্যাম্পাস জীবনের মূল্যবান সময়কে অপচয় না করার পরামর্শ দেন।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী লিয়াকত আলী লিমনকে সভাপতি ও বাংলা বিভাগের শেষবর্ষের শিক্ষার্থী মোনারুল ইসলাম লিখনকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। পরে সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

স/অ