রাবির একই বিভাগের চার শিক্ষককে হত্যার হুমকি

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চার শিক্ষকে চাঁদা চেয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে সুব্রত বাইন পরিচয়ে এক ব্যক্তি। চাঁদা না দিলে তাদরে হত্যা করা হবে বলে হুমকিও দেন ওই ফোনকারী। এ ঘটনায় সহযোগী অধ্যাপক মিজানুর রহমান ও শামসুন নাহার নগরীর মতিহার থানায় (সাধারণ ডাইরি) জিডি করেছেন।

প্রাণনাশের হুমকিপ্রাপ্ত শিক্ষকরা হলেন, বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক অমৃতলাল বালা, অধ্যাপক মিজানুর রহমান খান, অধ্যাপক সফিকুন্নবী সামাদী ও সহকারী অধ্যাপক শামসুন নাহার। এদের মধ্যে অধ্যাপক সফিকুন্নবী সামাদী ছাড়া বাকি তিনজন থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান খান সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, ‘গত ১১ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এক ভারতীয় নম্বর (৯১৮০১৭৮২২৭২৫) থেকে ফোন করে। ফোনকারী নিজেকে সুব্রত বাইন পরিচয় দিয়ে আমার কাছে চার লাখ টাকা দাবি করেন।

তিনি বলেন, সাভার ইপিজেট এ পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এক লোক আহত হয়েছে। কলকাতার খিদিরপুরে তার চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসার জন্য ১৪ লাখ টাকা দরকার। আমাদের কাছে ১০ লাখ আছে। আপনাকে বাকি চার লাখ টাকা দিতে হবে। আমি বলি সরি, এতো টাকা দিতে পারবো না।

এর উত্তরে সুব্রত বলেন, রাজশাহী আমাদের দলের লোকজন আছে। আপনি টাকা না দিলে মুহূর্তের মধ্যেই আপনার সবকিছু তছনছ হয়ে যাবে।’

এর এক ঘণ্টা পরই আমি নগরীর মতিহার থানায় চাঁদা চেয়ে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে সাধারণ ডাইরি (জিডি) করেন তিনি। এই একই নম্বর ও নাম ব্যবহার করে সোলাইমান আলী নামে তার সাবেক এক শিক্ষার্থীকেও হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও মিজানুর রহমান জানান।

প্রভাষক ড. মোসা. শামসুন নাহার জানান, এর আগে গত ৬ অক্টোবর সকালে তাকেও একই নম্বর থেকে, একই নামে ফোন করে চাঁদা চাওয়া হয়। না হলে পরিবারের সদস্যদের অপহরণ করার হুমকি দেওয়া হয় অপর প্রান্ত থেকে। সুব্রই বাইন নিজেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শীর্ষ সন্ত্রাসী বলেও দাবি করেন।

শামসুন নাহারকে হুমকি দেওয়ার কিছুক্ষণ পরই একই নম্বর থেকে বাংলা বিভাগের আরেক অধ্যাপক ড. সফিকুন্নবী সামাদীকে ফোন করেন সুব্রত বাইন।

সফিকুন্নবী সামাদী বলেন, ‘ফোন করে সুব্রত বাইন পরিচয় দিয়ে লোকটি আমাকে বলে, আমাকে চিনতে পেরেছেন? আমি বলি, চিনতে পেরেছি। আমি পরীক্ষা দিই না, নিই এই বলে আমি ফোন রেখে দিই।’

এ বিষয়ে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, ‘মিজানুর রহমান আর শামসুন নাহার থানায় জিডি করেছেন। সফিকুন্নবী সামাদী করেননি। হুমকি এসেছে ভারতীয় নাম্বার থেকে। এজন্য বিষয়টা একটু জটিল হয়ে গেছে। তারপরও আমরা তদন্ত শুরু করেছি।’

স/শ