রাবিতে সিনেট নির্বাচিত উপাচার্য নেই ১৬ বছর

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী বিশ্বদ্যিালয়ে ৭৩এর অধ্যাদেশ অনুযায়ী সিনেট নির্বাচিত প্যানেল থেকে উপাচার্য নিয়োগের কথা থাকলেও প্রায় ১৬ বছর ধরে তা অণুসৃত হচ্ছে নাতবে গণতন্ত্র স্বায়ত্তশাসন রক্ষার্থে বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ অণুসরণ করে উপাচার্য নির্বাচন হওয়া উচিৎ বলে মনে করছেন এখানকার শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ ১১ () ধারা অনুযায়ী, উপাচার্য নিয়োগে তিন সদস্যবিশিষ্ট প্যানেল নির্বাচনের দায়িত্ব সিনেটের। সিনেট নির্বাচিত ওই তিনজনের একজনকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগের জন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের নিকট সুপারিশ করবেন। এরপর আচার্য একজনকে চার বছরের জন্য নিয়োগ দেবেন। কিন্তু ২০০১ সালের পর থেকে উপাচার্য নিয়োগের এই ধারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধ হয়ে যায়।

 

সর্বশেষ ১৯৯৯ সালের আগস্ট সিনেটের সুপারিশে উপাচার্য নিয়োগ পান অধ্যাপক এম সাইদুর রহমান খান। এরপর অধ্যাপক ফাইসুল ইসলাম ফারুকী, অধ্যাপক আলতাফ হোসেন, অধ্যাপক আব্দুস সোবহান অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পান। ২০০১ সালের ১২ নভেম্বর উপাচার্য অধ্যাপক এম সাইদুর রহমান খানকে অব্যাহতির পর দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে সিনেট সভা বন্ধ ছিল।

 

অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর ২০১৫ সালের ১৮ মে সিনেট অধিবেশন বসে। পরে গত বছরের ১৯ মে দ্বিতীয় দফায় সিনেট অধিবেশন বসে। এই অধিবেশনগুলোতে বার্ষিক বাজেট প্রস্তাব, সিন্ডিকেটে পাশ করা আইন অনুমোদনসহ বিভিন্ন বিষয়ের এজেন্ডা থাকলেও উপাচার্য নির্বাচনের কোনো এজেন্ডা ছিল না।

 
তবে শিক্ষকশিক্ষার্থীরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আধিপত্য বজায় রাখার জন্য ক্ষমতাসীন দলগুলোর মধ্যে প্রবণতা নতুন নয়। তবে গণতন্ত্র স্বায়ত্তশাসন রক্ষার্থে বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ অণুসরণ করে উপাচার্য নির্বাচন হওয়া উচিৎ

স/আর