রাবিতে শিক্ষকদের বাধায় ডিজিটাল উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবদেক:
উদ্বোধনের দুই দিন আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ডিজিটাল’ পদ্ধতিতে চালু হতে যাওয়া শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতি পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ও আওয়ামীপন্থি ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’ এ পদ্ধতি নিয়ে আপত্তি তোলায় চাপের মুখে স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।

 

বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মুহাম্মদ এন্তাজুল হক স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে স্থগিতাদেশ সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও দফতরে পাঠানো হয়।
এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর ‘ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্স মনিটরিং সিস্টেমে’ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি প্রদান করতে হবে জানিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আগামী ১ অক্টোবর থেকে তা কার্যকর করা হবে বলেও জানানো হয়। কিন্তু এ পদ্ধতি নিয়ে আপত্তি তোলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ও প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ। ডিজিটাল উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি প্রত্যাহার করার দাবি নিয়ে গত ২৭ সেপ্টেম্বর সকালে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক শহীদুল্লাহ্ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শাহ্ আজম। একই দিনে প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক অধ্যাপক রকীব আহমদের নেতৃত্বে একটি লিখিত অভিযোগ উপাচার্যকে দেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হলে ১ অক্টোবর ১১টা থেকে এক ঘণ্টা কর্মবিরতির হুঁশিয়ারিও দেন শিক্ষক সমিতি।

 

  • আপত্তিকারী শিক্ষকদের অভিযোগ, এই পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষকদের স্বাধীনতা খর্ব করে নিয়ন্ত্রণারোপ করা হবে। এভাবে শৃঙ্খলিত করা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও মুক্তচিন্তার পরিপন্থি। তাদের মতে, জ্ঞান বিতরণের কোনও সময় নেই, সেটা সকাল, বিকেল, রাত যে কোনও সময় হতে পারে। ’৭৩-এর অধ্যাদেশ অনুযায়ী শিক্ষকরা শুধু বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। কিন্তু এ ডিজিটাল উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ পদ্ধতিতে আমাদের সে স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হবে।

স্থগিতের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজিটালাইজেশনের অনেক প্রক্রিয়া চলছে, তার একটা অংশ অ্যাটেনডেন্স। হয়ত একটু ভুল বোঝাবুঝি আছে। তাই আপাতত স্থগিত করা হয়েছে, বাতিল তো না-এক সময় এসে এটা সময়ের দাবিই হয়ে যাবে। তখন সবাই চাইবে। তাছাড়া আমার অধিকার দায়বদ্ধতার বাহিরে নয় এবং দায়বদ্ধতা স্বচ্ছতার বাহিরে নয়।’ সামনের দিকে সবাই রিয়ালাইজ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

স/অ