রাবিতে ‘চন্দ্রগর্ভ’ উপন্যাসের মোড়ক উন্মোচন আগামী ২২ মার্চ

রাবি প্রতিনিধি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের শিক্ষক কনক আমিরুল ইসলামের ফ্রয়েডীয় প্রতীকীবাদ ও ইকো-ফেমিনিজম নির্ভর উপন্যাস ‘চন্দ্রগর্ভ’-এর মোড়ক উন্মোচন আগামী ২২ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার (১৮ মার্চ) বিকেলের দিকে উত্তরণ লেখক ও পাঠকের সূতিকাগার সাধারণ সম্পাদক তাসবিয়া ইসলাম তুলি স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ২২ মার্চ সিরাজী ভবনের সামনে বিকেল ৫টায় মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করবেন পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও ‘দ্যা ওয়ার্ল্ড একাডেমি অব সায়েন্স’ (টোয়াস)-এর সদস্য সালেহ হাসান নকীব।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন উপ- উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম টিপু, উপ- উপাচার্য অধ্যাপক ড. চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়া।

আলোচক হিসেবে থাকবেন লেখক, প্রাবন্ধিক ও আভিধানিক ড. স্বরোচিষ সরকার এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও কথাসাহিত্যিক ডা. মামুন হুসাইন।

বিজ্ঞপিতে চন্দ্রগর্ভ লেখা সমপর্কে কনক আমিরুল ইসলাম বলেন, হাজার বছর পূর্বে ঘটে যাওয়া বরেন্দ্রী-বাংলার সমাজ-সংস্কৃতি এবং রাজনৈতিক উত্থান-পতনের পটভূমিকে সামনে রেখে চন্দ্রগর্ভের আখ্যান রচিত। বর্তমান উপন্যাসে বাংলা কেবলই একটি ভৌগোলিক এলাকা নয়; কখনো নারী, কখনো প্রকৃতি কিংবা আপন মর্যাদায় টিকে থাকার শক্তি, প্রেরণা ও অস্তিত্ব। ‘চন্দ্রগর্ভ’ মহামতি অতীশ দীপঙ্করের পারিবারিক নাম হলেও, এ উপন্যাস জীবনীভিত্তিক নয়।

লেখক আরও বলেন, ফ্রয়েডীয় প্রতীকীবাদ এবং ইকো ফেমিনিজমের ধারণা সামনে রেখে তাঁর সময়কে ধরে তৎকালীন বাংলা, বিশেষত পাল সাম্রাজ্যের ক্ষয়িষ্ণু অবস্থা থেকে সেনদের জাগরণ, দশম শতাব্দীর শেষ দুই দশক থেকে একাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগের বাংলার শিক্ষা, সমাজ, অর্থনীতি, বহির্বাণিজ্য, শিল্প-সংস্কৃতি, জনজীবন, দ্বন্দ্ব ও প্রেম -এর উপজীব্য। শ্রীজ্ঞানের জন্ম, শৈশব, শিক্ষা, বিকাশ থেকে সত্যসূর্য হয়ে ওঠা ও তিব্বত যাত্রা পর্যন্ত এর জমিন। বাংলার বরেন্দ্রভূমির পাশাপাশি কখনো এসেছে রাঢ়বঙ্গ, কখনো বর্ধমান, মেদিনীপুর, ত্রিপুরা, বিহার, নালন্দা, মগধ, পাটালিপুত্র কিংবা নেপালের কথা। পাল সাম্রাজ্যের কথা বলতে গিয়ে এসেছে কৌম সমাজের মানবিক জীবন, ধর্মাচার ও প্রেমের দ্রোহ, মৌর্য ও গুপ্তযুগের ভাস্কর্য-শিল্পসাধনা প্রসঙ্গ। বাংলার বিক্রমশীল বিহার হয়ে, রামাবতী, পুণ্ড্রবর্ধন থেকে সোমপুর বিহার, তরাই অঞ্চল হয়ে হিমালয়ের কাছে ছুটে চলে এর চরিত্রসমূহ।

উল্লেখ্য, চন্দ্রগর্ভের আত্মপ্রকাশের মধ্য দিয়ে উত্তরণ সাহিত্য পত্রিকা, উত্তরণ-প্রকাশ নামে প্রকাশনা জগতে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে।