রাবিতে খাবারের মান বৃদ্ধি ও দাম কমানোর দাবিতে মানববন্ধন

রাবি প্রতিনিধি :

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মান বৃদ্ধি, দাম কমানো ও হলের ডাইনিং এর খাবারের মান বৃদ্ধির দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। আজ রবিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় তারা চিরকুটে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের নাম লিখে এবং প্যাকেটে হলের খাবার ঝুলিয়ে রাখে। এর সাথে তারা, ‘ডাইনিংয়ের খাবারের মান বৃদ্ধি করে শিক্ষার্থীদের পুষ্টি চাহিদা নিশ্চিত করো, ক্যাফেটেরিয়ায় পর্যাপ্ত মিল নিশ্চিত কর, ডাইনিং ও ক্যাফেটেরিয়ার খাবারে পর্যাপ্ত ভর্তুকি দাও, ক্যাফেটেরিয়াকে বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার বন্ধ কর, ক্যাফেটেরিয়ায় খাবারের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার কর’ সহ আরও বিভিন্ন দাবি লিখিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে মানববন্ধন করে।

মানববন্ধনে বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি শাকিল হোসেন বলেন, ‘ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন খবারের মান নিম্নমুখি করে ক্রমাগত দাম বাড়াচ্ছে। তারা অবকাঠামো উন্নয়নের দিকে এতো বেশি জোর দিচ্ছে যে ক্যাফেটেরিয়ায় নাকি এসি লাগাতে হয়। ক্যাফেটেরিয়ায় শিক্ষার্থীরা যেখানে ঠিকমতো খেতে পারে না সেখানে আমাদের এসি দরকার হয়। এসির দরকার নেই, এসির বদলে আমাদের দরকার পুষ্টিকর খাবার । বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেটি নিশ্চিত করছে না।

বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, তারা মিলনায়তন সংস্কারে বিশ কোটি টাকা বরাদ্দ করতে পারে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের পুষ্টিকর খাবারের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়কে লুটপাটের হাতিয়ার বানিয়ে ফেলেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয় কিন্তু স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকার জন্য যে খাবারের প্রয়োজন তার নিশ্চয়তা দিতে পারে না।

মানববন্ধনে বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘ক্যাফেটেরিয়া এবং আমাদের হলগুলোর খাবারের নিম্নমান এবং দফায় দফায় দাম বৃদ্ধি এর প্রেক্ষিতে আমরা আজকে এখানে দাঁড়িয়েছি। বিভিন্ন সংস্কার কাজে তারা বাজেট বৃদ্ধি করে কিন্তু আমাদের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের যে রিডিং রুম এত শিক্ষার্থী ব্যবহার করে সেটা যেন দোজখখানা। অথচ এটা সংস্কারের কোনো প্রয়োজন মনে করে না। কিন্তু তারা নজরুল ইসলাম মিলনায়তন, ক্যাফেটেরিয়া দফায় দফায় সংস্কার করছে কারণ এগুলো সংস্কার করলে তাদের লুটপাট করতে সহজ হচ্ছে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য, পড়াশোনা বা খাবারের বিষয়ে এই প্রশাসনের কোনো ব্যবস্থা নেই। এ বিষয়ে গবেষণা করে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মান উন্নয়নের জন্য খাবারের মান বৃদ্ধি করা এবং আমাদের লাইব্রেরীর রিডিং রুম সংস্কার করা এগুলোই আমাদের দাবি। ‘