রাবিতে উদ্ধার হওয়ার ৪ গোলাবারুদ বিস্ফোরণ ঘটালো সেনাবাহিনী

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) উদ্ধার দুটি মর্টারশেল, একটি রকেট লাঞ্চার ও একটি ল্যান্ড মাইনের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সেগুলো নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।  শনিবার (০১ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে ক্যাম্পাসের বধ্যভূমি এলাকার একটি ফাঁকা জায়গায় এগুলোর বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট থেকে আসা সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট এগুলোর বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. লুৎফর রহমান।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলের পূর্ব পাশে বধ্যভূমি এলাকার একটি পুকুরের খনন কাজ চলছে। সেখান থেকে দুইটি মর্টার শেল, একটি রকেট লঞ্চার ও একটি ল্যান্ড মাইন উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ সেগুলো উদ্ধার করে ঘিরে রাখে। পরে রাজশাহীর মতিহার থানা পুলিশ বোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করার জন্য বগুড়ার ক্যান্টনমেন্টের সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেয়। শনিবার দুপুরে সেখান থেকে সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ দল এসে এগুলোর বিস্ফোরণ ঘটায়। এসময় ৪টি গোলাবারুদই বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়।

এর আগে গত ২৭ এপ্রিল একই স্থান থেকে একটি অবিস্ফোরিত মর্টার শেল উদ্ধার করেছিল র‌্যাব-৫ এর একটি দল। পরবর্তীতে এর পরদিন সেনাবাহিনীর বোমা নিস্ক্রিয়কারী দল এসে এটির বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিস্ক্রিয় করে।

রাবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. লুৎফর রহমান বলেন, ‘পুকুরে বা বিশ্ববিদ্যালয়ের এলাকায় হয়তো এসব মর্টারশেল বা রকেট লাঞ্চার আরও রয়েছে। এগুলোর দ্বারা মানুষ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য এর স্থায়ী একটি সমাধানের জন্য আমি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি। তারা লিখিতভাবে সামরিক বাহিনীর সংশ্লিষ্ট শাখায় একটি দরখাস্ত দিতে বলেছেন। আমরা সেটি দিবো। এছাড়া পূর্বের মতো বগুড়া থেকে সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট এসে এগুলো নিষ্ক্রিয় করেছে।

এ ব্যাপারে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা বগুড়া সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দিলে শনিবার তারা ঘটনাস্থলে এসে এগুলোর বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করে।

এএইচ/এস