রাবিতে আগামীর কূটনীতিকদের মিলনমেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাবি:

জীবাশ্ম জ্বালানী কম ব্যবহারের মাধ্যমে কীভাবে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে শক্তির ব্যবধান কমানো যায় তা নিয়ে চলছে বিতর্ক। আর বিতর্কের মধ্য দিয়েই এর সমাধান খোঁজার চেষ্টা করছেন জাতিসংঘে বিভিন্ন দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্বকারী কূটনীতিকেরা। তবে সত্যিকারের জাতিসংঘ নয়, জাতিসংঘের আদলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলনের চিত্র এটি।

সম্মেলনটি মূলত জাতিসংঘের অধিবেশনের একটি প্রতীকী উপস্থাপনা। এখানে শিক্ষার্থীরা একেকজন কূটনীতিকের ভূমিকায় থাকেন। সম্মেলনে তারা বিভিন্ন বৈশ্বিক সমস্যা নিয়ে নিজেদের ভাবনা তুলে ধরেন এবং এর সমস্যার সমাধান দেখানোর চেষ্টা করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছায়া জাতিসংঘ সংস্থার (আরইউমুনা) আয়োজনে ষষ্ঠবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এই সম্মেলন। রবিবার (২৮ নভে) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়।

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার। এছাড়াও বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার সঞ্জীব কুমার ভাটি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক শাহ আজম শান্তনু। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে শ্রেষ্ঠ প্রতিনিধি বিবেচনায় ২৫জনকে পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়াও সকল অংশগ্রহণকারীকে সনদ প্রদান করা হয়।

ছয়টি কমিটি নিয়ে এবারের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এগুলো হলো- জাতিসংঘ নিরাপত্তা কাউন্সিল, জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি, জাতিসংঘ শিল্প উন্নয়ন সংস্থা, উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট, স্পেশালাইজড কমিটি ফর বাংলাদেশ অ্যাফেয়ার্স এবং ইন্টারন্যশনাল প্রেস।

সম্মেলনে জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি কমিটির হয়ে অংশ নেন আফিয়া আঞ্জুম ইতু। তিনি অস্ট্রিয়া দেশটির হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি বলেন, ‘সম্মেলনে বৈশ্বিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অনেক কিছু জানতে পেরেছি। বিভিন্ন সমস্যার সমাধান খুঁজতে গিয়ে আমাদের গভীরভাবে ভাবতে হচ্ছে। যার মাধ্যমে আমাদের চিন্তাশক্তিও বাড়ছে।’

সংস্থাটির সভাপতি সাকিব আহমেদ বলেন, এই সম্মেলন শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিবৃত্তিক চিন্তাশক্তি ও নেতৃত্ব বিকাশে সহায়ক হবে। একইসঙ্গে ছায়া জাতিসংঘের এই উদীয়মান কূটনীতিকেরা একদিন জাতিসংঘের মূল অধিবেশনে যোগ দেবেন এমন প্রত্যাশ্যাও তাঁর।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য উদ্ভাবনের সংস্কৃতিকে উদ্দীপ্ত করা’ প্রতিপাদ্যে চারদিনব্যাপী এ সম্মেলন শুরু হয়। এতে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তিনশ শিক্ষার্থী অংশ নেন। তাদের অংশগ্রহণে সম্মেলনটি যেন আগামীর কূটনীতিকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়।

জেএ/এফ