রাবিতে অপহৃত ছাত্রী ঢাকা থেকে উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অপহৃত ছাত্রীকে ঢাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার বেলা দুইটা নাগাদ তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান জানান।

প্রক্টর বলেন, ঢাকা পুলিশের সহায়তায় রাজশাহী পুলিশের একটি দল তাঁকে উদ্ধার করে। তাঁর সঙ্গে তাঁর সাবেক স্বামীও রয়েছে। বর্তমানে তাঁদের রাজশাহীতে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া চলছে।

এ বিষয়ে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও সিনিয়র সহকারি কমিশনার ইফতে খায়ের আলম জানান, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় তাদের অবস্থান ঢাকায় পাওয়া যায়। পরে রাতেই রাজশাহীতে পুলিশের একটি টিম ঢাকায় পাঠানো হয় তারা ডিএমপি পুলিশের সহযোগিতায় অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় তার সাবেক স্বামী সোহেলকে আটক করা হয়।

তবে কখন ও কোথায় থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে তা তাঁদের রাজশাহীতে নিয়ে আসার পরে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও তিনি জানান।

এর আগে, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনায় অপহরণকারির সোহেল রানার পিতা জয়নাল আবেদিনকে আটক করেছে পুলিশ। নওগাঁর পত্মীতলার সরদার পাড়ার নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে আটক করে।

ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভ : ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল বিকেল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্রী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও ওই ছাত্রীর সহপাঠীরা উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করে। ওই ছাত্রীর সন্ধান দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দুই ঘণ্টার আলটিমেটামও দেয় শিক্ষার্থীরা।

তারা বলে, ‘আমাদের চোখের সামনে আমাদের সহপাঠীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার স্বামীর সঙ্গে তালাক হয়েছে। আইনত তালাক কার্যকর না হলেও তাকে কেউ এভাবে নিয়ে যেতে পারে না। এভাবে হলের সামনে থেকে একটা মেয়েকে তুলে নিয়ে গেল, ক্যাম্পাসে আমাদের নিরাপত্তা কোথায়? আজ তাকে নিয়ে গেছে, কাল অন্য কাউকে নিয়ে যাবে। ’

আন্দোলনের একপর্যায়ে ওই ছাত্রীর বাবা ঘটনাস্থলে আসেন এবং উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলার জন্য তাঁর বাসভবনে প্রবেশ করেন। প্রায় আধা ঘণ্টা কথা বলে বেরিয়ে এসে প্রশাসনের পদক্ষেপের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন তিনি। ছাত্রীর বাবা শিক্ষার্থীদের বলেন, ‘আমি এখনো জানি না আমার মেয়েকে কে উঠিয়ে নিয়ে গেছে। তবে তার স্বামী তাকে ‘উঠিয়ে নিয়ে যাবে’, বিভিন্ন সময় এমন হুমকি দিয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমার মেয়েকে উদ্ধারে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। ’

প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের সামনে থেকে তাকে অপহরণ করা হয়। চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য তারা সকাল ৮টার দিকে হল থেকে বের হয় ওই ছাত্রী। বঙ্গমাতা হলের সামনে পৌঁছুলে তিন যুবক তার পথরোধ করে। এ সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তাকে জোরপূর্বক একটি প্রাইভেট কারে উঠিয়ে নিয়ে যায় তারা।

ওই শিক্ষার্থী বাংলা বিভাগের স্নাতক (সম্মান) চূড়ান্ত বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি তাপসী রাবেয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। তার বাড়ি নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার মাতাজি এলাকার।

স/অ