রাণীনগরে নানান অজুহাতে বাইরে বের হচ্ছে মানুষ, বাড়ছে করোনার ঝুঁকি

রাণীনগর প্রতিনিধি:

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় মানা হচ্ছে না লকডাউন। স্থাণীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বার বার ঘরে থাকার নির্দেশনা প্রদান, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ও মাইকিং করা হলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। রাণীনগর উপজেলায় ১৩ জন করোনা রোগী সনাক্ত হলেও লকডাউন মানছে না সাধারণ মানুষ। প্রাণঘাতি করোনার মরণ ছোবলকে তোয়াক্কা না করে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে নানার অজুহাতে ঘরের বাহিরে রাস্তায় ও বাজারে বের হচ্ছে মানুষ। খুলছে একের পর এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, চলছে কেনাকাটা। এতে করে বাড়ছে করোনার ঝুঁকি। লকডাইনেও সকালে ভির বিকেলে ফাঁকা। ফলে ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে আশংকা করছেন সচেতন মহল।


জানা গেছে, সারাদেশে করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রনের জন্য সরকার নানান পদক্ষেপ নিচ্ছেন। গত ১৫ এপ্রিল নওগাঁ জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। তবে নওগাঁর জেলার রাণীনগর উপজেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হলেও এই উপজেলায় করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা সর্ম্পকে ধারনা ও জনসচেতনতা সৃষ্টি না হওয়ায় সরকারের বিভিন্ন নির্দেশনা বা নিয়মনীতিকে ও লকডাউনকেও গুরুত্ব দিচ্ছেনা মানুষ। এছাড়া গ্রাম ও মফস্বল এলাকায় করোনা ভাইরাস সর্ম্পকে ধারনা না থাকার কারনেও গুরুত্ব দিচ্ছে গ্রাম ও মফস্বলের সাধারণ মানুষ। বুধবারও রাণীনগর উপজেলার সদর বাজারসহ বিভিন্ন এলাকার নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকানপাট ছাড়া বিভিন্ন দোকানপাট খোলা ছিলো এবং জনসাধারনের অবাধ চলাচল ছিলো বলে জানা গেছে। কাঁচা বাজার অন্যান্য দোকান পাটসহ বিভিন্ন স্থানে সামাজিক দুরত্ব বজায় না রেখে সকালে ভির জমানো হয়। আবার বিকেলে ফাঁকা এবং বিকেলে দোকানপাট বন্ধ থাকে। এতে করে খুলছে একের পর এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, চলছে কেনাকাটা। দিন দিন বাড়ছে জনসমাগম, বাড়ছে করোনার ঝুঁকি।

সদরের বাজারসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তায় ছিল মানুষ, ভ্যান, ইজিবাইক আর সিএনজির চলাচল। অধিকাংশ দোকানপাটের ঝাঁপ আংশিক খোলা ছিলো। অনেক ব্যবসায়ী দোকানের শার্টার বন্ধ রেখে সামনে বসে থেকে ব্যবসা করছিলেন। কোন ক্রেতা গেলে চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ করছেন ব্যবসায়ীরা। আবার অনেক ব্যবসায়ী বিভিন্ন কৌশলে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। বুধবার সকালে উপজেলার গোল-চত্বর, স্টেশন এলাকা, বিজয়ের মোড়, বটতলী এলাকা, রেলগেট এলাকাসহ বিভিন্ন রাস্তায় ছিলো ভ্যান, ইজিবাইক ও মানুষের অবাধ চলাচল।

বাহিরে বের হওয়ার বিষয়ে কয়েকজন পথচারীর সাথে কথা বললে তারা জানান, দোকান খোলা আছে তাই প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে এসেছি। যদি দোকান না খুলতো তাহলে আসার প্রয়োজন ছিলো না। তারা কাঁচা বাজারসহ অন্যান্য জিনিস কেনার জন্য বাজারে আসেন। এছাড়া বিকেলে ঘরের বাহিরে তারা বের হন না বলেও জানিয়েছেন তারা।

দোকানপাট খোলা রাখার বিষয়ে রাণীনগর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি ছারোয়ার মিনা বটুর সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি মুঠোফোনে কথা বলতে রাজি হননি।

এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আল মামুন বলেন, যারা সরকারি আইনকে ও লকডাউন উপেক্ষা করছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

স/অ

আরো পড়ুন…

রেল কর্মকর্তাদের অবহেলায় রানীনগরের ফুটওভার ব্রিজে মৃত্যুর মিছিল