রাণীনগরে উপজেলা পরিষদেই দেওয়া হলো স্কুলছাত্রীর বাল্যবিয়ে!

রাণীনগর প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা পরিষদেই ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক মেয়ের বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত ২৮ আগস্ট বুধবার এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে ওই মেয়েটি নিজ পরিবারের কাছে ফিরে আসতে চাইলেও তাকে জোর করে আটকে রাখা হয়েছে বলে মেয়ের পরিবারের অভিযোগ। ছেলের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় তারা আইনের আশ্রয়ে যেতে পারছেন না বলে দাবি মেয়ের পরিবারের। বর্তমানে ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি করেছে।

এবিষয়ে উপজেলা প্রশাসন কোনোকিছু জানে না। অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

মেয়েটি উপজেলার চকাদিন গ্রামের প্রবাসী বাবু হোসেনের মেয়ে। মেয়েটি ত্রিমোহানী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণিতে পড়ালেখা করছে।

মেয়ের মা লাকী বেগম অভিযোগ করে বলেন, উপজেলার লোহাচুড়া গ্রামের আমিনুল ইসলাম (মোমিন) আমাদের দূর সম্পর্কের আত্মীয় হয়। তারই সূত্র ধরে মাঝে মধ্যে তার ছেলে দিপু আমাদের বাড়িতে আসতো। কিন্তু আমার মেয়ের সঙ্গে তার কোনো প্রেমের সম্পর্ক ছিলো না। আমার মেয়েও এই বিষয়ে কখনো আমাকে কোন কিছুই বলেনি। সম্প্রতি অন্য স্থানে মেয়ের বিয়ের কথা চলছিলো। এরমধ্যে গত ২৪ তারিখে স্কুল থেকে আসার সময় মেয়েকে ছেলে দিপু জোর করে তুলে নিয়ে যায়। ঘটনার কয়েক দিন পর ২৮ তারিখে রাণীনগর উপজেলা পরিষদে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের দিনেও আমার সঙ্গে আমার মেয়েকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। এমনকি মেয়ের জন্মনিবন্ধনের কার্ড আমার কাছ থেকে নিয়ে ছিড়ে ফেলা হয়। বিয়ের একদিন পর মেয়ে ম্যাসেজের মাধ্যমে আমাকে জানায় যে, তাকে বিয়ে করার জন্য জোর করা ও ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে। আমার মেয়ে এখন কোথায় আছে তাও আমাকে জানানো হয়নি। আমার মেয়ে বাড়ি ফিরতে চায়, পড়ালেখা করতে চায়। কিন্তু ছেলে দিপু তাকে ঢাকায় জোর করে আটকে রেখেছে। এতে করে আমার মেয়ে যে কোন সময় আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারে। ছেলেরা প্রভাবশালী হওয়ায় আমরা আইনের আশ্রয়ে যেতে পারছি না। মেয়েকে ফিরে পেতে চান বলে আকুতি জানান মেয়ের মা।

এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, এই ধরনের কোন ঘটনা আমার জানা নেই। আমাকে যদি ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাহলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

 

স/শা