রবিবার , ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

রাণীনগরে এলজিইডির ব্রিজের কাজে অনিয়ম: ভেঙ্গে পরায় নতুন করে নির্মাণ

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৮ ৫:১৯ অপরাহ্ণ

রাণীনগর প্রতিনিধি:

নওগাঁর রাণীনগরে মিরাট ইউনিয়নের হামিদপুর গ্রামে শ্রীমতখালী খালের উপর ব্রিজ নির্মাণে অনিয়ম হওয়ায় ভেঙ্গে পরায় আবার নতুন করে ব্রিজ নির্মান করা হচ্ছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ রাণীনগর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) অফিসের উদাসীনতায় ও ঠিকাদারের সাথে অফিসের যোগসাজগে ওই প্রকল্পে কাজে নিন্মমানের নির্মান সামগ্রী দিয়ে কাজ করা হয়েছে তাই ব্রিজের মাঝের দুই জায়গায় পিলার দেবে গিয়ে ভেঙ্গে পরে। আবার নতুন করে ব্রিজ নির্মানের কাজ চলছে এই প্রকল্পের কাজেও অনিয়ম হচ্ছে। তবে আবার নতুন করে ব্রিজের নির্মান কাজ করা হচ্ছে এ ব্রিজের বিষয়ে কোন তথ্য দেয়া হয়নি উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) অফিস থেকে।

রাণীনগর উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত মিরাট ইউনিয়ন পরিষদ। এ ইউনিয়নটি অত্যন্ত অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত এবং বিল এলাকা নামে পরিচিত। বর্ষাকালে যখন চারিদিক পানি থৈ থৈ করে এলাকাটিকে দ্বীপের মতো দেখায়। তখন চলাচলের একমাত্র উপযোগী বাহন নৌকা।

২০১২-১৩ অর্থ বছরে উপজেলার হামিদপুর গ্রামে শ্রীমতখালী খালের উপর ব্রীজের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। গত ২বছর পূর্বে ব্রীজটি নির্মাণ কাজ শেষ সময়ে মাঝের পিলারটি দেবে যায়। এতে ওই এলাকার প্রায় ১৬টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ নদী পারপারে দুভোর্গে পড়তে হচ্ছে। ব্রিজটি ভেঙ্গে পরার কারনে আবার নতুন করে সেখানে ব্রিজের নির্মান কাজ চলছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অত্যন্ত অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত এ এলাকাটি যুগ যুগ ধরে এতটুকু উন্নয়ন করা হয়নি। তবে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই এলাকায় উন্নয়নের ছোয়া লাগা শুরু হয়। শ্রীমতখালী খালে পূর্বে এলাকার মানুষ নৌকায় করে পারাপার হতো। গত কয়েক বছর আগে স্থানীয়া তাদের যোগাযোগের সুবিধার জন্য স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিত্বে একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করেন। আর সেই বাঁশের সাঁকো দিয়ে এখনো চলাচল করেন তারা। ২০১২-১৩ অর্থ বছরে শ্রীমতখালী খালের উপর ব্রীজের একটি নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এতে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের চাওয়া পাওয়া ছিল ওই নদীর উপর একটি ব্রিজ নির্মাণ। ব্রিজ নির্মাণের কাজের ব্যাপক অনিয়ম ও নি¤œমানের কাজ হওয়ায় কাজের শেষের দিকে এসে ব্রীজে মাঝের পিলারটি দেবে যাওয়ায় ব্রিজের মধ্যে স্থলে দুই জায়গায় ভেঙ্গে যায়। আবার ব্রীজটি পূর্ণনির্মাণ করার জন্য প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

এতে ওই ইউনিয়নের বাঁশের সাঁকের উপর দিয়ে মিরাট, হামিদপুর, বৌঠাখালী, রঘুনাথপুর, সিকরিপুর, সেকেরপুকুর, সাতপাড়া, আতাইকুলা, ধনপাড়া, হরিশপুর, বিলবাড়ী, বড়খোলা, ডাঙ্গাপার দরঘাটা, মিঠাপুরসহ ১৬টি গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র উপায় এখন নড়োবড়ো বাঁশের সাঁকো। বিকল্প কোন পথ না থাকায় সাঁকো দিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে এলাকার মানুষদের।

স্থানীয় রসুল প্রাং, জিয়ারুল ইসলাম, নাছির উদ্দিন, সাহেব আলীসহ আরো অনেকেই জানান, আগের ব্রীজের কাজ শুরু থেকেই অনিয়ম ছিল। অনিয়ম ও নিম্নমানের কাজ হওয়ায় পিলারটি দেবে যায়। কিন্তু ব্রিজটি পূর্ণনির্মাণ করা হয়নি। একটি ব্রিজের কারণে ওই এলাকার উৎপাদিত ফসল ঠিকসময়ে হাটবাজারে নিতে পারেন না। ফসলের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হতে হয়। এতে কৃষকসহ স্থানীয় ব্যবসায়ীকদের লোকসান গুনতে হয়। আবার ব্রিজটি নতুন করে নির্মান করার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা প্রকৌশলী মো: সাইদুর রহমান মিঞা বলেন, অভিযোগটি সঠিক নয়। ব্রিজ নির্মাণের কাজটি চলমান রয়েছে।

স/অ

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর