রাণীনগরে আ’লীগ নেতা আজিম উদ্দিন হত্যার আরেক আসামী গ্রেফতার

রাণীনগর প্রতিনিধি:
নওগাঁর রাণীনগরে সরকারি খাস পুকুর দখল করাকে কেন্দ্র করে আ’লীগ নেতা আজিম উদ্দিন হত্যা মামলার মো: ফরহাদ মন্ডল (৩০) নামে আরেক আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে আত্রাই থানা পুলিশ তাকে সন্দেহজনক ভাবে আটক করে ও শনিবারে রাণীনগর থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করেন। গ্রেফতারকৃত ফরহাদ মন্ডলকে রোববার সকালে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত, ফরহাদ মন্ডল উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিষ্ণপুর গ্রামের মো: শহিদুল ইসলাম ওরফে টাকুর ছেলে।

উল্লেখ্য, উপজেলার করজগ্রাম সখিনপাড়ায় মসজিদ সংলগ্ন সরকারি একটি খাস পুকুর মসজিদ কমিটি ও গ্রামবাসি মসজিদের উন্নয়নে ভোগ দখল করে আসছিলেন। ওই খাস পুকুরটি মসজিদ কমিটির কাছ থেকে লীজ নিয়ে প্রায় ১৪-১৫ বছর থেকে মাছ চাষ করে আসছিলেন নিহত আজিম উদ্দিনের ভাই মো: শহিদুল ইসলাম। পুকুরটি নিয়ে আদালতে মামলাও রয়েছে। এমত অবস্থায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা থেকে পুকুরটি লোহাচুড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লীজ পায় বলে প্রচার প্রচারণা চালায় একটি সিন্ডিকেট পাটি। এরপর পুকুরটি দখল করতে গত ২৭ মে রবিবার দুপুরে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত সাহাদত হোসেন সায়েম, নাজমুল হক মাসুম, আব্দুল আজিজ, রহিমসহ ৩৫-৩৫ জন মোটরসাইকেল যোগে ওই পুকুরে মাছ ছাড়তে যান।

এমতাবস্থায় আজিম উদ্দিন ও গ্রামবাসিদের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সায়েম ও তার দলবল লাঠিসোটা, লোহার রড, হাতুড়ী ইত্যাদি দিয়ে এলোড়িপাতি দিয়ে মারপিট শুরু করে। তাদের মারপিটে শহিদুল ইসলাম, তার বড় ভাই আজিম উদ্দিনসহ জালাল ও তাদের মা মানিকজান বেওয়াসহ ৭-৮ জন গুরুত্বর আহত হন। আহতদের মধ্যে উপজেলার কালিগ্রাম ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি আজিম উদ্দিনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে বগুড়া উপজেলার আদমদিঘী হাসপাতালে ভর্তি করনো হয়। অবস্থা বেশী আশঙ্কাজনক হলে তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। নওগাঁ হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আজিম উদ্দনকে মৃত ঘোষণা করেন।

এই ঘটনায় গত ২৮ মে সোমবার নিহতের ভাই আলিম উদ্দিন বাদী হয়ে সায়েমকে প্রধান আসামী করে ২৮ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। মামলায় আরো অজ্ঞাত আসামী রয়েছেন ১২-১৩ জন।
রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএসএম সিদ্দিকুর রহমান জানান, আজিম উদ্দিন হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত ফরহাদ মন্ডলকে গ্রেফতার করে রোববার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
স/শ