রাণীনগরে অর্থের বিনিময়ে অসামাজিক কাজের ঘটনা ধামাচাপা দিলো মাতব্বরেরা

রাণীনগর প্রতিনিধি:
নওগাঁর রাণীনগরে গত শনিবার রাতে একডালা ইউনিয়নের জলকৈ রায়পুরপাড়া গ্রামের অসামাজিক কর্ম কান্ডের ঘটনায় মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গ্রামের কতিপয় মাতব্বরদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার সঙ্গে ওই গ্রামের কিছু মাতব্বরদের সম্পৃক্তরা রয়েছে বলেও জানা গেছে। এ ঘটনায় ওই গ্রামের হিন্দু ও মুসলিম মানুষের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, গত ৩-৪ মাস আগে উপজেলার একডালা ইউনিয়নের জলকৈ রায়পুরপাড়া গ্রামের মৃত-বনমাধব মন্ডলের ছেলে শ্রী বিকাশ মন্ডল একই গ্রাম রায়পুরগুচ্ছ গ্রামের দিনমজুর মো: এমদাদুল হকের জনৈক স্ত্রীর সঙ্গে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়। এ ঘটনায় স্থানীয়রা তাদের হাতে নাতে আটক করলে বিকাশ কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে জনৈক স্ত্রী স্বামীর বাড়ি থেকে মুখলজ্জার কারণে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন। এই ঘটনার পর থেকে বিকাশ মন্ডল পলাতক ছিলেন। গত ১০-১৫ দিন আগে কিছু মাতব্বরা বিকাশকে লিড দিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে।

হটাৎ করে গ্রামের কতিপয় মাতব্বরর বাবলু সরকারসহ ৪-৫ জন অসাধু লোকজন বিকাশের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে কৌশলে বিকাশের বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য আতাত করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার রাতে ওই গ্রামের কতিপয় মাতব্বররা কৌশলে গ্রামে সমাজের কিছু ব্যক্তিদের নিয়ে গ্রাম্য সালিশ করে বিকাশের বিষয়টি মিটমাট করেন। এতে করে গ্রামের অন্যান্য মানুষের মাঝে বিষয়টি নিয়ে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামের অনেকেই বলেন, বিগত সময়েও বিকাশ গ্রামে একাধিকবার এই ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়েছে। তার চরিত্র ভালো না। আমরা একাধিকবার বিকাশের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও গ্রামের কতিপয় মাতব্বর ও কিছু প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতারা আমাদের তা করতে দেয় নাই। বিকাশ বার বার এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে মাতব্বরদের অর্থ দিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে। বিকাশের কারণে আমাদের মেয়ে ও স্ত্রীরা নিরাপদ নয়। কেন তার বিরুদ্ধে গ্রামের মাতব্বর ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা শক্তিশালী ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না তা আমাদের বোধগম্য নয়।

জনৈক স্ত্রীর স্বামী দিনমজুর এমদাদুল হক এর সাথে কথা তিনি বলেন, আমি একজন দিনমজুর আমি অন্য গ্রামে মানুষের বাড়িতে চাকুরী করি এবিষয়ে আমি কী করবো।

এব্যাপারে জলকৈ রায়পুর পাড়া গ্রামের মাতব্বর বাবলু সরকারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এবিষয়ে আমি কোন কিছু জানি না। আমি এবিষয়ের সাথে কোন সম্পৃক্ত নেই।

এ বিষয়ে একডালা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: রেজাউল ইসলাম সিল্কসিটি নিউজকে জানান, বিকাশের এই ঘটনাটির কথা আমি শুনেছি। তবে এই বিষয়ে ওই গ্রাম থেকে আমার কাছে কেউ কোন অভিযোগ নিয়ে আসেনি। কিন্তু বিষয়টি যে মিটমাট করা হয়েছে তা আমার জানা নেই।

এবিষয়ে রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএসএম সিদ্দিকুর রহমান জানান, এবিষয়ে আমি শুনেছি তবে কোন অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
স/শ