রাণীনগরে অটো রাইস মিলের বিষাক্ত বর্জ্যের দূর্গন্ধে ও শব্দ দূষণে অতিষ্ট এলাকাবাসী

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি:

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা সদরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ছাত্তার শাহ’র অটো রাইস মিলের দূষিত বর্জ্যের  দূর্গন্ধে এবং শব্দ দূষণে অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন এলকাবাসি। এ ঘটনায় রবিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন স্থানীয়রা। এর আগেও একাধিক বার অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার মেলেনি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তবে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ইউএনও।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সদরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার ছাত্তার শাহ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি অটোমেটিক রাইস মিল স্থাপন করেছেন। ওই মিলের বিষাক্ত দূর্গন্ধযুক্ত পানি নিস্কাশনের জন্য মিলের উত্তর দিকে বাহাদুরপুর-চকমুনু ডওরে ছেড়ে দেয়ার জন্য ড্রেন নির্মান কাজ শুরু করেছেন। মিল স্থাপনের পর থেকে দূষিত বর্জ্য ও বিষাক্ত পানির দূর্গন্ধে চকমুনু, বাহাদুরপুর ও হেলিপ্যাড এলাকার লোকজন চলাচল করতে পারছেনা। এছাড়া দূর্গন্ধের কারনে অত্র এলাকায় পরিবেশ ও জনবসতি হুমকির মূখে পরেছে। ফলে বসবাস করা অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এছাড়া মিলের জেনারেটোর চালু করলে বিকট শব্দে অতিষ্ট হয়ে পরে পার্শ্ববতী বাড়ির মানুষ ও এলাকার লোকজন। এবিষয়ে বারবার মিল মালিককে জানালেও কোন কর্ণপাত করেনি বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। ফলে প্রতিকার চেয়ে রবিবার রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয়রা।

অভিযোগকারী ওই এলাকার মোস্তাক, নয়ন হোসেন, সিরাজুল ইসলামসহ আরো কয়েকজন জানান, মিলের বিষাক্ত পানির দূর্গন্ধে এবং জেনারেটোরের বিকট শব্দে আমরা অতিষ্ট হয়ে পরেছি। জনবসতিপূর্ন এলাকায় এভাবে মিলের দূষিত বর্জ্য ও বিষাক্ত পানি খোলা জায়গায় ছেড়ে দিতে পারেননা। আমরা মিল মালিককে হাউজ করে সেখানে পানি রাখার জন্য বার বার অনুরোধ করেছি কিন্তু তিনি শুনছেন না। এব্যাপারে একাধিকবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাইনি। আবারো লিখিত অভিযোগ করলাম। আসা করছি বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্ঠরা সুষ্ঠু ব্যবস্থা নিবেন।

অটো রাইস মিলের মালিক ছাত্তার শাহ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কতিপয় লোকজন এর আগেও লিখিত অভিযোগ করেছিলো কিন্তু তদন্তে অভিযোগের কোন সত্যতা পায়নি। কিছু লোকজন আমাকে হয়রানি করার জন্য প্রতিহিংসা বসত: বার বার মিথ্যে অভিযোগ করছেন। আমি নিয়ম মেনেই মিল পরিচালনা করছি।

এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনা ক্ষতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স/জে