রাজাপাকসেকে ছাড়তে হবে সিঙ্গাপুরও

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

শ্রীলংকার সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে সিঙ্গাপুরেও বেশিদিন থাকতে পারবেন না। সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ তাকে সেদেশে ১৫ দিন থাকার অনুমতি দিয়েছে। এই সময় বাড়ানোরও তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। ফলে নতুন কোনো দেশে আশ্রয় খুঁজতে হবে রাজাপাকসেকে। কিন্তু তিনি এবার কোন দেশে যাবেন, তা এখনো অনিশ্চিত।

কলম্বো গ্যাজেট ও ডেইলি মিররসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, সিঙ্গাপুর সরকারের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত সফরের অংশ হিসাবেই রাজাপাকসেকে সেদেশে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তিনি সিঙ্গাপুর সরকারের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয় চাননি। তাছাড়া সিঙ্গাপুরে এ ধরনের আশ্রয় চাওয়ার কোনো সুযোগও নেই।

নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকট এবং ব্যাপক গণবিক্ষোভের মুখে মঙ্গলবার রাতে দেশ ছেড়ে পালিয়ে মালদ্বীপে আশ্রয় নিয়েছিলেন গোতাবায়া রাজাপাকসে। তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ও দুই নিরাপত্তা কর্মকর্তা। কিন্তু সেখানে একদিনের বেশি টিকতে পারেননি তিনি। মালদ্বীপে স্থানীয় জনগণ ও প্রবাসী লংকানরা তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করলে বৃহস্পতিবার রাতে তিনি সিঙ্গাপুর পাড়ি দেন।

এর আগে রাজাপাকসে আশ্রয়ের জন্য ভারতের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিলেন; কিন্তু ভারত তার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে।

শ্রীলংকার পার্লামেন্টে শনিবার প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসের পদত্যাগপত্র গ্রহণের মধ্য দিয়ে রাজাপাকসে-অধ্যায়ের ইতি ঘটে। লংকানরা এখন ২০ জুলাইয়ে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য আইনপ্রণেতাদের দিকে তাকিয়ে আছেন। ততদিন পর্যন্ত রনিল বিক্রমাসিংহেই অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন। বিক্ষোভকারীরা যদিও বিক্রমাসিংহেকেও চাইছে না। তারপরও শ্রীলংকার ক্ষমতাসীন পদুজানা পেরামুনা পার্টি (এসএলপিপি) বিক্রমাসিংহেকেই প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন দিয়েছে।

ক্ষমতাসীন পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় এমপিরা বিক্রমাসিংহেকেই সমর্থন দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে বিক্রমাসিংহে অন্য দলের (ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি-ইউএনপি) হওয়ায় ক্ষমতাসীন এসএলপিপির সদস্যদের ভেতরেই দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে।

এ সপ্তাহের শুরুর দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন এবং দপ্তরেও চড়াও হয়েছিল। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষও হয়। এক বিক্ষোভকারী সেসময় বিবিসিকে বলেছিলেন, আগামী দিনগুলোয় রনিল বিক্রমাসিংহের বিরুদ্ধে আরও বিক্ষোভ-সমাবেশ হবে। জনগণের কোনো ম্যান্ডেট তার নেই এবং তিনি রাজাপাকসেদের সমর্থক হিসাবে ভালোভাবেই পরিচিত। মানে আমি বলতে চাইছি, নতুন প্রেসিডেন্ট এবং নতুন প্রধানমন্ত্রী রাজাপাকসেদের সমর্থক হওয়া উচিত হবে না।

 

সুত্রঃ যুগান্তর