শুক্রবার , ২৯ জুলাই ২০১৬ | ১২ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

রাজাকার, ষড়যন্ত্রকারীর দুই জঙ্গি নাতি

Paris
জুলাই ২৯, ২০১৬ ৮:৫০ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

রাজধানীর কল্যাণপুরে স্টর্ম-২৬ জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিহত নয় জঙ্গির পারিবারিক ইতিহাস ঘেঁটেও পাওয়া যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এদের অন্তত দুই জঙ্গি রয়েছেন যাদের পিতামহ ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধবিরোধী কিংবা রাষ্ট্রবিরোধী।

তদন্তের কাজে নিয়োজিত গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যে বেরিয়ে এসেছে চমকদার এসব খবর। এর মধ্যে একজনের দাদা ছিলেন সরাসরি স্বাধীনতাবিরোধী, আর অন্যজনের বিতর্কিত ভূমিকা ছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার সময়।

কল্যাণপুরের অভিযানে নিহত আকিফুজ্জামান খানের (২৪) দাদা ছিলেন ইতিহাসের কুখ্যাত মোনায়েম খান।

পুলিশি সূত্রে জানা যায়, অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে- পরিবারতন্ত্রের ধারায় দেশবিরোধী হতে পারে এই জঙ্গিরাও। তারা আন্তর্জাতিক কোনো গোষ্ঠীর সঙ্গে ছিল কিনা তার চেয়ে বড় কথা তারা সরাসরি জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সক্রিয় সদস্য। আর আন্তর্জাতিক চক্রের সঙ্গে লিংক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

দেশে বর্তমানে জঙ্গি তৎপরতার পেছনে ’৭১ ও ’৭৫ সালে পরাজিত শক্তির ইন্ধন আছে বলে আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্যের মধ্যে নিহত জঙ্গিদের মধ্যে স্বাধীনতাবিরোধী মোনায়েম খানের নাতির সন্ধান পাওয়া গেলো, আরও তথ্য বেরিয়ে এসেছে কল্যাণপুরে নিহত আরেক জঙ্গি সাজাদ রউফ অর্কের দাদা আব্দুর রউফ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ডিএফআই (এখন ডিজিএফআই) প্রধান ছিলেন।

মোনায়েম খানের জন্ম কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে। তিনি ছিলেন মুসলিম লীগের বড় নেতা। ১৯৬২ সালে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নরের দায়িত্ব পেয়ে বাংলার মানুষের স্বাধিকার আন্দোলন দমনে আইয়ুব খানের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেন তিনি। ১৯৭১ সালে করেন স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতা। চালাতে থাকেন ষড়যন্ত্র। তবে ১৩ অক্টোবর ঢাকার বনানীর বাসায় মুক্তিবাহিনীর গুলিতে আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় এই কুখ্যাত রাজাকারের। তারই ছেলের ছেলে এই জঙ্গি আকিফুজ্জামান খান। যে এখন স্বাধীন দেশের শত্রু হয়ে কাজ করছিল।

এদিকে, অর্কের দাদা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সময় প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান আব্দুর রউফ। তিনি ছিলেন মেজর জিয়াউর রহমানের আস্থাভাজন। জিয়ার সময় ডিএফআই’র নাম পরিবর্তন করে ডিজিএফআই করা হলে কে এম আমিনুল ইসলামকে পরিচালক পদে দেওয়া হয়। এর পরপরই তাকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয় আব্দুর রউফকে।

শুধু তাই নয় জঙ্গি অর্কের বাবা তৌহিদ রউফ সেনাবাহিনীর অস্ত্র সরবরাহকারী। এমনকি অর্ক নিজেও সেই অস্ত্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক পদে কাজ করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এই অর্কই তার পরিচিত জঙ্গিদের অস্ত্র সরবরাহ করতেন। যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্টধারী এই যুবক আধুনিক মরাণাস্ত্র এবং এসব বিষয়ে বেশ পারদর্শী ছিলেন। তিনি ছিলেন গুলশান হামলায় অংশ নিয়ে নিহত নির্বাসের বন্ধুও।

এছাড়া গুলশান ও শোলাকিয়ায় হামলায় জড়িত কয়েকজনের মতো এই দুই জঙ্গি আকিফুজ্জামান ও অর্ক পড়তেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিতর্ক তাদের সে বিষয়টি নিয়েও চলছে।

নানামাত্রিক বিতর্কিত এসব বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছে গোয়েন্দা পুলিশ। তারা আইএস ভাবধারা ধারণ করে কালো রঙের জামা, পাগড়ি পরে ছবি তুলেছেন। পুলিশ বলেছে, বড় রকমের নাশকতার পরিকল্পনা ছিল রাজাকার, ষড়যন্ত্রকারীর নাতিদের।

সূত্র: বাংলানিউজ

সর্বশেষ - জাতীয়