রাজশাহী রেশম কারখানার বর্তমান কার্যক্রম পরিদর্শন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী রেশম কারখানা পরিদর্শন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি জনাব সাবের হোসেন চৌধূরী এর নেতৃত্বে কমিটির সদস্যগণ। শুক্রবার সকালে  সদস্যগণ রাজশাহী রেশম কারখানায় পরীক্ষামূলকভাবে চালু হওয়া ৫টি পাওয়ার লুমের বিভিন্ন পর্যায় ঘুরে ঘুরে দেখেন। পরিদর্শনকালে সদস্যগণ রেশম উন্নয়ন বোর্ড থেকে উৎপাদিত সুতা দিয়ে কারখানায় তৈরীকৃত খাঁটিঁ রেশম কাপড় এবং রেশম কারখানার বর্তমান কার্যক্রম সম্পর্কে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

সদস্যগণ রেশম কারখানায় তৈরীকৃত গরদের কাপড়, সুপার বলাকা দেখে উচ্ছ্বসিত হন এবং রেশম কারখানাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতার বিষয়টি সকলকে আশ্বস্ত করেন। এ সময় সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালনা পর্ষদের জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান ফজলে হোসেন বাদশা উপস্থিত ছিলেন।

১০ম জাতীয় সংসদের ‍‍বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৩২তম বৈঠক গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয় ।

সভায় সভাপতি মহোদয় বস্ত্র বিল-২০১৮ সংশোধন সাপেক্ষে তা আইন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণসহ পরবর্তীতে জাতীয় সংসদে প্রেরণ করা হবে বলে জানান ।  এ সময় তিনি বলেন, রেশম শিল্পের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এর সুষ্ঠু সমন্বয়, পরিকল্পনা ও তদারকি প্রয়োজন। রেশম বোর্ড ও রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট একত্রে হলেও সমন্বয়ের জন্য দ্রুত সাংগঠনিক কাঠামো অনুমোদন হওয়া প্রয়োজন।আগামি ২০২১ সালের মধ্যে রেশমের উৎপাদন ১০০ মেট্রিক টনে উন্নীত করা হবে। এছাড়া বস্ত্র বিল -২০১৮ অনুমোদনের পর পাট ও রেশম এর সমন্বয়ে কোন নতুন পণ্য তৈরী করা যায় কিনা বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তিনি ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নের জন্য তুঁতপাতার ও রেশম কীটের উন্নত জাতের বর্তমান পর্যায় থেকে আরও উন্নত করার বিষয়ে তাগিদ দেন ।

স্থায়ী কমিটির সভায় বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেন, রেশম শিল্পের ব্যাপক উন্নয়নের জন্য মেগা প্রকল্প গ্রহণ করা প্রয়োজন । তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করে যেতে হবে। রেশমের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে। এজন্য সকলকে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাওয়ার নির্দেশনা দেন প্রতিমন্ত্রী।

স/শ