রাজশাহী বিভাগে ই-নামজারি সেবায় প্রথমস্থানে দুর্গাপুর ভূমি অফিস

দুর্গাপুর প্রতিনিধি :
প্রান্তিক মানুষের ভূমি সেবা প্রাপ্তির অন্যতম নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা ভূমি অফিস। প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ও ভূমি সেবা প্রাপ্তিতে সাধারণ মানুষের হয়রানি বন্ধে ভূমি মন্ত্রণালয় যেসব ডিজিটাল সেবা দিয়েছে তার মধ্যে ই-নামজারি সেবা অন্যতম।

বর্তমানে ভূমি অফিসে নামজারি সেবা ও ভূমি উন্নয়ন কর আদায় প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণরূপে ডিজিটাইজড করা হয়েছে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের এসব উদ্যোগ
সাধারণ জনগণকে সহজে ভূমি সেবা প্রাপ্তিতে সহায়তা করছে।

আর এসব উদ্যোগ মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে উপজেলা ভূমি অফিসের মাধ্যমে। উপজেলা ভূমি অফিসে আসা সেবা প্রার্থীদের মধ্যে শতকরা ৭০ শতাংশ
আসেন ই-নামজারি সেবা নিতে।

তাই ই-নামজারি সেবাকে আরও স্বচ্ছ ও জনবান্ধব করার লক্ষ্যে ভূমি মন্ত্রণালয় তাদের ওয়েবসাইটে (land.gov.bd) এলাকাভিত্তিক নামজারি তথ্যচিত্র উপস্থাপন করার ব্যবস্থা করেছেন।

দুর্গাপুর উপজেলা ভূমি অফিসে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক সেবা প্রার্থী ই-নামজারি সেবা গ্রহণে এ ভূমি অফিসে আসেন। হয়রানি ছাড়া সেবা
পেয়ে তারা অনেকেই খুশি ও সন্তুষ্ট।

উপজেলা ভূমি অফিসে সেবা নিতে আসা দুর্গাপুর উপজেলার ঝালুকা গ্রামের মোফাজ্জল হোসেন ও ভাঙ্গীরপাড়া গ্রামের কোরবান আলী মাত্র তিন দিনের
ব্যবধানে ই-নামজারি করতে পেরে আবেগ আপ্লুত হয়ে জানান, গত ৪ ফেব্রুয়ারি অনলাইনে নামজারি আবেদন করেন। এরপর মোবাইলে আসা এসএমএস অনুযায়ী তিনি ৭ তারিখ শুনানিতে উপস্থিত হয়ে তার ই-নামজারি কার্যক্রম সম্পন্ন হয়ে যায়। অতীতের হয়রানির ঘটনা এখন ইতিহাস। খুব সহজেই এই ভূমি অফিসে সব ধরনের সেবা পাওয়া যায়।

প্রাপ্ত তথ্যচিত্র অনুযায়ী রাজশাহী বিভাগের গড় নিষ্পত্তি দিনের ভিত্তিতে শীর্ষ অবস্থানে আছে দুর্গাপুর উপজেলা ভূমি অফিস। এবছর তথ্য অনুযায়ী দুর্গাপুর উপজেলায় গড় নিষ্পত্তির সময় ৮ দিন যা রাজশাহী বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে কম। বিগত বছর এ সময় দুর্গাপুর উপজেলার গড় নিষ্পত্তির সময় ছিল ৩৬ দিন। ই-নামজারি সেবা সহজীকরণে ও জনগণকে স্বল্পতম সময়ে এ সেবা দিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) কৃষ্ণ চন্দ্র।

উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) কৃষ্ণ চন্দ্র বলেন, ই-নামজারি সেবা দেওয়া একটি টিম ওয়ার্ক। এখানে অফিসের স্টাফরা যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন
করেন ঠিক তেমনি একজন গ্রাহক সময় মতো উপস্থিত হয়ে সহযোগিতা করতে পারেন।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান রাজশাহী জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা মোতাবেক ই-নামজারি সেবা দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। যখন আমি এ উপজেলার দায়িত্ব গ্ৰহণ করি তখন গড় নিষ্পত্তি সময় ছিল ৩৬ দিন। ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, সার্ভেয়ার, কানুনগো, অফিস সহকারীসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় এ সেবা বর্তমানে ০৮ দিনে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। ভবিষ্যতে আরও স্বল্প সময়ে এ সেবা দেওয়ার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।