রাজশাহী বিভাগের সেরা করদাতারা পেলেন সম্মাননা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী বিভাগের সেরা করদাতাদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দিলেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। আজ সোমবার বেলা ১১টায় রাজশাহী কর্মচারী কল্যান বোর্ড মিলনায়তনে কর অঞ্চল রাজশাহী আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ৪২জন সেরা করদাতার হাতে এ সম্মাননা স্মারক তুলে দেন তিনি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি মাননীয় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আজ থেকে কয়েক বছর আগেও মানুষ কর দেওয়ার ব্যাপারে অনাগ্রহী ছিল। কিন্তু সেটি এখন বাড়ছে। এটি আরো বাড়াতে হবে। কর দেওয়াতে ভয়ের কিছু নেই। এই ভয় কাটাতে হবে। কর প্রদানে সবাইকে আগ্রহী করে তুলতে হবে।

মেয়র লিটন আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবক্ষেত্রে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এখন আর আমাদের সাহায্যের জন্য কারো কাছে হাত পাতার দরকার নেই। বরং আমরাই বিভিন্ন ছোট দেশকে সাহায্য করতে পারবো। আশা করছি, ২০৪১ সাল নয়, ২০৩০ সালেই আমরা পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশে পরিণত হবো।

কর অঞ্চল রাজশাহীর কর কমিশনার ড. খন্দকার মো. ফেরদৌস আলমের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, বিভাগীয় কমিশনার নূর উর রহমান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কর) আলমগীর হোসেন, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার, রাজশাহী চেম্বার অব কর্মাস এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এর সভাপতি মনিরুজ্জামান মনি, রাজশাহী কর আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাড. মহসীন খান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন, কর অঞ্চল রাজশাহীর যুগ্ম কর কমিশনার মির্জা আশিক রানা।

সেরা করদাতা সম্মাননা প্রদান-২০১৮ অনুষ্ঠানে চারটি ক্যাটাগরিতে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনসহ রাজশাহী বিভাগের পাঁচ জেলার ৪২জনকে সেরা করদাতার সম্মাননা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে সম্মাননাপ্রাপ্তদের মধ্যে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের দীর্ঘ সময় কর প্রদানকারী হচ্ছেন-সুবিদ আলী ও আখতার হোসেন। সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী তিনজন হলেন-নাসিমুল গনি খান, ফারহানা হক চৌধুরী ও মাহফুজার রহমান। সর্বোচ্চ নারী করদাতা নূরজাহান বেগম। ৪০ বছর বয়সের নিচে তরুণ পুরুষ করদাতা শামসুল ইসলাম।

জেলার দীর্ঘ সময়ে করদাতা দুইজন আজাহার আলী ওরফে গোলাম মোস্তাফা ও ফজলুর রহমান। সর্বোচ্চ করদাতা তিনজন হলেন মনিরুল ইসলাম, কাজী মাহমুদুল হাসান ও আব্দুস সোবহান। সর্বোচ্চ নারী করদাতা সাহিদা বেগম। ৪০ বছর বয়সের নীচে তরুণ পুরুষ করদাতা মাহমুদুল হাসান।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের দীর্ঘ সময়ে কর প্রদানকারী দুইজন হলেন রাবেয়া খাতুন ও মোস্তাফা হোসেন। সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী তিনজন সাফিকুল হুদা পুলক, আব্দুল মান্নান ও সুবাস কুমার মণ্ডল। সর্বোচ্চ নারী করদাতা হলেন সুলতানা ফরিদা জেসমিন। ৪০ বছর বয়সের নিচে তরুণ পুরুষ করদাতা ওমর ফারুক সুমন।

রাজশাহীর পাশেই থাকা নাটোর জেলার দীর্ঘ সময় কর প্রদানকারী দুইজন হলেন আবুল কাশেম সরকার ও লতিফ রহমান। সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী করদাতা তিনজন শেখ এমদাদুল হক আল-মামুন, তৌহিদুল আলম ও ফজলুর রহমান তারেক। সর্বোচ্চ নারী করদাতা আরিফা সুলতান। ৪০ বছর বয়সের নিচে তরুণ পুরুষ করদাতা সোহেল আল মামুন।

নওগাঁ জেলার দীর্ঘ সময়ে করপ্রদানকারী দুইজন সামসুন নাহার ও কমল চৌধুরী। সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী তিনজন হলেন দেওয়ান ছেকার আহমেদ, ইকবাল শাহরিয়ার ও সাধন চন্দ্র মজুমদার। সর্বোচ্চ নারী করদাতা মালেকা পারভীন। ৪০ বছর বয়সের নিচে তরুণ পুরুষ করদাতা এম এ ওবায়দা।

পাবনা জেলায় দীর্ঘ সময় কর প্রদানকারী দুইজন হলেন আলাল উদ্দিন ও গৌতম কুমার দাস। সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী তিনজন হলেন অঞ্জনা চৌধুরী, গোলাম রাব্বানী ও কাজী ইকবাল হারুন। সর্বোচ্চ নারী করদাতা মিসেস বুলা চৌধুরী। ৪০ বছর সয়সের নিচে তরুণ পুরুষ করদাতা এরিক এস চৌধুরী।

স/অ