রাজশাহী পলিটেনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষের অপসারণ দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী পলিটেকনিক ইন্সটিউটের অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদ’র অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ম্যাকট্রোনিক্স বিভাগের প্রথম থেকে সপ্তম পর্বের শিক্ষার্থীরা এ বিক্ষোভ শুরু করেন ইন্সটিউটের প্রধান ফটকের সামনে। এসময় তারা বিভিন্ন দাবিতে দ্রুত অধ্যক্ষ ফরিনদ উদ্দিনের অপসারণ দাবি করেন।

তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে, প্রতিষ্ঠানের সাধারণ শিক্ষার্থীদের অযথা হয়রানি বন্ধ করা, বহিরাগতদের প্রবেশ বন্ধ করা, কলেজের শিক্ষক সঙ্কট দূর করা, পরিবহণ সঙ্কট দূর করা প্রমুখ। শিক্ষার্থীরা দ্রুত এসব সমস্যা সমাধানেরও দাবি জানান।

এর আগে গত ৯ অক্টোবর ইনস্টিটিউটের মেকাট্রনিক্স বিভাগের পঞ্চম পর্বের শিক্ষার্থীরা কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণের দাবি জানায়।

এসময় শিক্ষার্থীরা জানান, গত ৪ জুন তাদের চতুর্থ পর্বের প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্সের পরীক্ষা ছিল। তারা বোর্ডের সিলেবাস অনুযায়ী ৬৬২২ কোডের বই পড়ে পরীক্ষা দিতে যান। কিন্তু পরীক্ষার হলে প্রশ্নপত্র পাওয়ার পর তারা দেখতে পান ৬৬৪৩ কোডের বই থেকে প্রশ্ন করা হয়েছে। তাৎক্ষণিক শিক্ষার্থীরা ইনস্টিটিউটের শিক্ষকদের জানান এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে বোর্ডে যোগাযোগ করা হয়।

বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানায়, শিক্ষার্থীরা যে যা পারে তাই লিখতে বলেন। খাতা দেখার সময় বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে দেখা হবে। এমন আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। গত ১ অক্টোবর তাদের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা যায় রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্সের ১২০ জন শিক্ষার্থীর সবাই ফেল করেছেন। রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও মাগুরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে মেকাট্রনিক্স বিভাগ আছে। এই তিন ইনস্টিটিউটের ৩৫০ জনই ফেল করেছে।

রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদ সিল্কসিটিনিউজকে জানায়, সিলেবাসের বাইরে প্রশ্ন করা হয়েছিল। পরীক্ষার সময় তাদের আশ্বস্ত করা হয়। পরে তাদর পাস করিয়ে দেওয়া হয়।

শিক্ষকরা তাদের অভিযোগে জানান, গত ৩১ জানুয়ারি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড’র উপ-সচিব (প্রশাসন) মো. নূর-এ-ইলাহী স্বাক্ষরিত (স্মারক নং বাকশিবো/প্র:/পি-৩৩৫/৪৩) অফিস আদেশে পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রকৌশলী সুশীল কুমার পালকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে বোর্ডের সিস্টেম এনালিষ্ট করা হয়। বোর্ডের এমন দুই গুরুত্বপূর্ণ পদে একই ব্যক্তি আসীন হওয়ায় বাড়তে থাকে ভোগান্তি। সমস্যা নিরশনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কলেজ প্রধান ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কাজে এসে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সাক্ষাৎ না পেয়ে দিনের পর দিন হয়রানি হতে থাকে। কখনো কখনো পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের নাগাল পেলেও অপ্রত্যাশিত আচরণ করেন বলেও ওই অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

 

স/আর