রাজশাহী নগরীতে ধর্ষণের পর প্রতিবন্ধি কিশোরীকে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী নগরীর চন্ডিপুর এলাকায় এক মানসিক প্রতিবন্ধি কিশোরী খুন হয়েছে। নিহত ওই কিশোরীর নাম এ্যানি খাতুন (১১)। সে একই এলাকার রতন আলীর মেয়ে। নিখোঁজের দুই দিন পরে ওই কিশোরীর লাশ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে চন্ডিপুরের একটি পরিত্যক্ত জমির জঙ্গলের মধ্যে থেকে উদ্ধার করা হয়।

 

প্রথমে ওই কিশোরীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। এরপর রাজপাড়া থানা পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তর জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, নিহত ওই কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। সে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে নিখোঁজ ছিল।

15401458_675317659299086_555364327_n-copy

লাশ উদ্ধারের বিষয়টি স্বীকার করেছেন নগরীর রাজপাড়া থানার ওসি আমান উল্লাহ। তিনি সিল্কসিটি নিউজকে জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে কে বা কারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

 

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর থেকে এ্যানি খাতুন নিখোঁজ ছিল। এরপর থেকেই পরিবারের সদস্যরা এ্যানির খোঁজ-খবর করছিলেন। কিন্তু কোথাও তার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। এ অবস্থা আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে পরিবারের লোকজন এ্যানির সন্ধ্যান চেয়ে এলাকায় মাইকিং-এর ব্যবস্থাও করেন।

 

এরই মধ্যে একটু দূরে দুপুর ১২টার দিকে বাড়ি থেকে একটু দূরে প্রাচীর দিয়ে ঘেরা একটি পরিত্যক্ত জঙ্গলের মধ্যে এ্যানির লাশ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ওই জমিটির চারিদিকে প্রায় ৬ ফুট উচ্চতার প্রাচীর দেওয়া আছে। প্রাচীরের এক পাশে দরজায় তালাবদ্ধ করা আছে। এর ভিতরে এ্যানিকে ধরে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করা হতে পারে বলেও ধারণা করছেন এলাকাবাসী।

 

এ্যানির দাদা আব্দুল মালেকও একই দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘আমার মানসিক প্রতিবন্ধি নাতনীকে কে বা কারা ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। এর আমি বিচার চাই।’

 

স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর সোহরাব হোসেন সিল্কসিটি নিউজকে জানান, ঘটনাস্থলের পাশে স্থানীয় কিছু বখাটেরা আড্ডা দেয়। তারাই হয়তো এ্যানিকে হত্যা করে লাশ জঙ্গলের মধ্যে ফেলে রেখে গেছে।

স/আর