রাজশাহী কলেজিয়েটের ৯৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা নিরুপায়দের পাশে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

“মানুষ মানুষের জন্য” এই কথাটি ধরে রেখে করোনা পরিস্থিতিতে নিরুপায় খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাড়িয়েছে রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের ১৯৯৯ এর সাবেক শিক্ষার্থীরা। রাজশাহীতে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে লক ডাউনের কারণে নিরুপায় খেটে খাওয়া মানুষদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করছে রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের ১৯৯৯ এর সাবেক শিক্ষার্থীরা।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১ টা থেকে নগরীর সাহেব বাজার এলাকা থেকে তাদের এই কর্মসূচি শুরু হয়। এছাড়াও তারা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ বিতরণের জন্য বুথ তৈরী করছে। আরসিএস (রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল) ১৯৯৯ এর ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থীরা একটি তহবিল গঠনের মাধ্যমে নিরুপায় দিন আনা দিন খাওয়া মানুষদের মাঝে প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করছে। করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকেই একটি তহবিল গঠন করে তারা, যেখানে ১৯৯৯ এর ব্যাচের প্রায় সকল শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের প্রায় সকলেই অর্থ দান করে থাকে। সেই তহবিলের অর্থ থেকে খাদ্যদ্রব্য দেওয়া হচ্ছে রাজশাহীর অসহায় দিন মজুরদের।

আরসিএস (রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল) ১৯৯৯ ব্যাচের এই কমিটিতে আছে, পরিকল্পনায় আহসান-উল কর, প্রধান হোসনে রাব্বি ভুইয়া, রাসেল হাসান, সেক্রেটারি রাসেল হাসান, এডভাইসর উদয়ন ইসলাম কানন ও আব্দুল বাকি এবং ফরেইন এফেয়ারস নাফিউল ইসলাম। আরসিএস (রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল) ১৯৯৯ ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী হোসনে রাব্বি ভুইয়া সিল্কসিটিনিউজকে জানান, করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকেই তাদের এই কর্মসূচির শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১০০ জন নিরুপায় মানুষকে খাদ্যদ্রব্য দেওয়া হয়েছে। মোট ১০০০ নিরুপার দিন খেটে খাওয়া মানুষকে ১০ দিনের খাদ্য দ্রব্য দেওয়া হবে। খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে থাকছে চাল, ডাল, তেল, আটা, লবন, সেমাই, সাবান, চিনি এছাড়াও প্রয়োজনীয় অর্থ। বর্তমানে মাঠে কাজ করছে ১৯৯৯ ব্যাচের ৭ জন সাবেক শিক্ষার্থী। যেহেতু করোনা পরিস্থিতি এখন ভয়াবহ রূপ ধারন করেছে তাই সম্পুর্ন প্রোটেকশন নিয়ে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে। ত্রাণ দেওয়ার পাশাপাশি সকলকে করোনা বিষয়ক সচেতন করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন,” যতদিন এই নিরুপায় মানুষগুলোর কোনো কর্মের ব্যবস্থা হবেনা ততো দিন তাদের পাশে রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের এই ১৯৯৯ এর ব্যাচের সকলের সাহায্য থাকবে। এই কাজের পিছে আমাদের বড় উদ্দেশ্য নেই। মানুষ যখন এমন বিপদে থাকবে আমরা অসহায় মানুষের পাশে দাড়াবো। যখন মানুষ মনে করবে তাদের পাশে আমাদের দরকার আমরা থাকবো।” এভাবেই সকলে যদি সকলের দিকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয় তবে এই করোনা পরিস্থিতির সাথে মোকাবেলা কঠিন হবেনা।