রাজশাহীসহ সারা দেশে হরতাল শুরু, চলছে যানবাহন

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

হরতাল থাকলে ভোর ৬টা থেকে অন্য দিনের মতোই রাজধানীতে যানবাহন চলাচল করছে। ছেড়ে যাচ্ছে দূরপাল্লার বাসও। রাজশাহীতেও একই অবস্থা বিরাজ করছে।
এদিকে জামায়াতের ডাকা হরতালকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে সকাল থেকে বাড়তি পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। তবে কোথাও কোনো মিছিল-সমাবেশের খবর জানাতে পারেনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
জামায়াত ইসলামির আমির মকবুল আহমাদসহ কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল শুরু হলেও রাজধানীর ব্যাংকপাড়া খ্যাত মতিঝিলে হরতালের কোনো চিত্র চোখে পড়েনি। অন্য দিনের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে।

মানুষের চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ নিয়মেই বাড়ছে গণপরিবহনের সংখ্যা। ক্রমেই ব্যস্ত হয়ে উঠছে মতিঝিল এলাকা। দোকানপাটও খুলতে শুরু করছে।

এদিকে, হরতালকে কেন্দ্র করে পুলিশের বাড়তি উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। ভোর ছয়টা থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনের রাস্তায় বাড়তি পুলিশ সদস্যদের অবস্থান করতে দেখা গেছে। এছাড়া, পুলিশের টহল টিমের কয়েকটি গাড়ি মতিঝিল এলাকায় অবস্থান করছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা ওহিদুল বলেন, হরতালের কোনো কর্মকান্ডই নেই, সবকিছু স্বাভাবিক আছে। তারপরও যে কোনো ধরনের অপতৎপরতা রোধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।

এয়ারপোর্ট সড়কে হরতালের কোনো আলামত নেই। হরতালকে উপেক্ষা করে যান চলাচল প্রতিদিনের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে।

ঢাকা মোট্রোপলিটন পুলিশের উত্তরা পূর্ব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল গনি সাবু জানান, এ এলাকায় হরতালের কোনো প্রভাব নেই। শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিদিনের মতোই সড়কে যান চলাচল করছে।

মিরপুর এলাকা থেকে সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট মফিজুল সাদিক জানান, বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে জামায়াতের ডাক সকাল-সন্ধ্যা হরতাল শুরু হলেও রাজধানী মিরপুর ১০, ১১, ১২, ১, ১৪ নম্বর সেকশন ও কাজীপাড়া শেওড়াপাড়া এলাকায়  হরতালের কোনো চিত্র দেখা যায়নি। অন্য দিনের মতোই  যানবাহন চলতে দেখা যাচ্ছে।
স্বাভাবিক রয়েছে মানুষের চলাচলও। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ নিয়মেই বাড়ছে গণপরিবহনের সংখ্যা। ক্রমেই ব্যস্ত হয়ে উঠছে মিরপুর এলাকা। দোকানপাটও খুলতে শুরু করছে।

এদিকে, হরতালকে কেন্দ্র করে পুলিশের বাড়তি উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। ভোর ছয়টা থেকে মিরপুর ১০ নং গোলচক্করে  রাস্তায় বাড়তি পুলিশ সদস্যদের অবস্থান করতে দেখা গেছে। এছাড়া, পুলিশের টহল টিমের কয়েকটি গাড়ি ও এপিসি, জলকামান, প্রিজন ভ্যান ১০ নম্বর সেকশনে রাখা হয়েছে।

রাজধানীর আসাদগেট, খামারবাড়ি, ফার্মগেট ও কাওরানবাজার এলাকা ঘুরে স্টাফ করেসপন্ডেন্ট মনি আচার্য জানান, জামায়াতে ইসলামীর ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালে রাজধানীর জনজীবনে কোনো প্রভাব পড়েনি।

এসকল এলাকায় জামায়াত কর্মীদের কোনো উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় নি। কোনো ধরনের মিছিল বা সমাবেশের আয়োজনের চেষ্টা করতেও দেখা যায়নি। কার্যত হরতালের ডাক দিয়ে মাঠে নেই জামায়াত! এ এলাকায় দোকানপাট যেমন খুলেছে, তেমনি সড়কেও যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

অন্যদিকে জামায়াতের ডাকা হরতালকে কেন্দ্র করে যে কোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এ চারটি স্থানে। পোশাক ও সাদা পোশাকে এলাকাগুলোর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন তারা।

এ সব এলাকায় দায়িত্বরত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখন পর্যন্ত তারা হরতালের সমর্থনে কোনো মিছিল বা সমাবেশ দেখেননি। তবে হরতালকে কেন্দ্র করে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তারা সতর্ক রয়েছেন।

সোমবার (০৯ অক্টোবর) রাতে গোপন বৈঠক থেকে গ্রেফতারের পর জামায়াত আমির মকবুল আহমাদ, নায়েবে আমির মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুর রহমানসহ আটজনকে মঙ্গলবার বিকেলে ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত।

দলীয় নেতাকর্মীদের মুক্তির জন্য এ কর্মসূচির ডাক দেয় জামায়াত।

অন্যদিকে হরতাল থাকলেও রাজশাহীতে এর কোনো প্রভাব লক্ষ্য করা যায়নি। ভোর থেকেই চলছে সব ধরনের যানবাহন। কোথাও কোনো পিকেটিংএর খবরও পাওয়া যায়নি।

বাংলানিউজ