রাজশাহীর শাহমখদুম মেডিক্যাল কলেজ শির্ক্ষাথীর ওপর হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীর শাহমখদুম মেডিক্যাল কলেজ শির্ক্ষাথীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। পরিকল্পিতভাবে আপেল হোসেন (২২) নামের এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। আপেল শাহমখদুম মেডিক্যাল কলেজের পঁঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মেডিক্যাল কলেজের ভিতরে এ হামলা চালানো হয়। পরে আপেলকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

তার ওপর হামলাকারীরা হলো, একই বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান ও মিস্টি খাতুন। পরে এ ঘটনায় আপেল নিজে বাদী হয়ে নগরীর চন্দ্রিমা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় মেহেদী ও মিস্টিসহ আরো কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।

চন্দ্রিমা থানার ওসি সিরাজুম মনির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনা তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী মেডিক্যাল বিশ্ববিদল্যায় থেকে একটি টিম যায় শাহমখদুম মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শনে। টিমটি শিক্ষার্থী ও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে চলে আসেন। এরপর শিক্ষার্থীরা বসে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছিলেন। আলোচনা সভার শেষ দিকে এসে হঠাৎ করে মেহেদী হাসানসহ আরো কয়েকজন আপেলের ওপর হামলা করে।

এসময় তারা বলতে থাকে, ‘কলেজের বিপক্ষে আন্দোলন করো। আন্দোলন করা শাস্তি দিচ্ছি।’ তাদের হামলায় আপেলের চোখের নিচে চোয়ালে মারাত্মক জখমপ্রাপ্ত হোন। পরে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’

হামলার প্রত্যক্ষদর্শী এনি নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আপেলের ওপর হামলাটি ছিলো সম্পূর্ণ পরিকল্পিত। তাকে কোনো কারণ ছাড়ায় পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। আমরা এই হামলার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা না হলে আমরা তীব্র আন্দোলনে যাবো।’

প্রসঙ্গত, রাজশাহীর শাহমখদুম মেডিক্যাল কলেজটিতে ২০১৪ সাল থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি করে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য করে আসলেও এখনো বিএমডিসির অনুমতি মেলেনি। এতে করে শিক্ষার্থীরা এমবিবিএস পাশ করলেও ইন্টার্নশীপ করতে পারছেন না। এমনকি পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসকও হতে পারছেন না। এমনকি মেডিক্যাল কলেজটির হাসপাতালে পর্যাপ্ত রোগী না থাকায় প্রেক্টিসও করতে পারেন না শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে তারা সম্প্রতি ক্লাস বর্জনের আন্দোলন করে আসছেন।

স/আর