রাজশাহীর বাজারে সুস্বাদু ও ফরমালিন মুক্ত আম

নিজস্ব প্রতিবেদক:  রাজশাহীতে জেলা প্রশাসনের বেধে দেয়া সময় মেনে বাগান থেকে আম নামানো শুরু করেছে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। সুস্বাদু ও ফরমালিন মুক্ত আম পাচ্ছেন ক্রেতরা। এদিকে মৌসুমের শুরুতে আমের দাম ভালো থাকায় খুশি ব্যবসায়ীরা।

আজ শুক্রবার রাজশাহীর বানেশ্বর হাট। বিভিন্ন এলাকার বাগানের আম নামাতে শুরু করেন মালিকরা। এসব আম রাজশাহীর সবচেয়ে বড় আমের বাজার বানেশ্বরে নেয়া হচ্ছে। সেই আজ রাজধানীসহ সারাদেশে বাজারজাত করছে বেপারী ও ব্যবসায়ীদের।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত বছর জেলায় ১৬ হাজার ৯৬১ হেক্টর জমিতে আম বাগান ছিল। এবার তা বেড়ে হয়েছে ১৭ হাজার ৪৬৩ হেক্টর। আর বাগানে রয়েছে ২৪ লাখ ২৬ হাজার ১৮৯টি আম গাছ। কোনও দুর্যোগ না হলে এবার ২ লাখ ১৭ হাজার ৭৫০ মেট্রিক টন আশ্বিনা, ল্যাংড়া, লক্ষণভোগ, ক্ষীরসাপাত, আমরুপালি, তোতাপরী ও স্থানীয় জাতের গুটি আমের ফলন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আগামী দু’মাস মাস পর্যায়ক্রমে আম্রপালি, ল্যাংড়া, হিমসাগর, মোহনভোগ, রানীপ্রসাদসহ বিভিন্ন জাতের আম নামানো হবে। দাম ভালো হলে লাভের প্রত্যাশা বাগানিদের। প্রশাসনের তদারকিতে নির্ধারিত সময়ে আম নামানোয় ভোক্তারা ফরমালিনমুক্ত আম পাবেন বলে প্রত্যাশা ফল বিশেষজ্ঞদের।

তবে ব্যাবসায়ীরা বলছেন, প্রশাসনের কিছু লোক এসে আমের সঙ্গে মেশিন ধরছে। তারা বলছে আমে ফরমালিন আছে। এই আতঙ্গ ব্যবসায়ীদের মেধ্যে বিরাজ করছে। অপর এক ব্যবসায়ী বলেন, বিদেশে থেকে যে ফলগুলো নিয়ে আশা হয়, সেগুলোতে কি ফরমালিন থাকে না। তাহলে সেই ফুলগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ করতে হবে।

আমচাষী আজমত আলী বলেন, ‘এখন থেকে প্রায় প্রতিদিনই ব্যস্ততা। আম ভাঙতে হবে, বাজারে নিয়ে যেতে হবে, বিক্রি করতে হবে। আষাঢ় মাস পর্যন্ত দুই মাসের আম প্রতিনিয়ত ভাঙতে হবে।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দেব দুলাল ঢালী বলেন, চাষিরা এবার ভালো লাভ করবেন। এবার বাঘা উপজেলার ১৪ জন চাষির সঙ্গে আম রপ্তানিকারকরা চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। চাষিরা ২৬টি শর্ত মেনে আম উৎপাদনে রাজি হয়েছেন। এবার ১০০ টন আম বিদেশে পাঠানোর লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।

স/আ