রাজশাহীর বাজারে সবজি ছড়াচ্ছে তাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীর বাজারে প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে চালের দাম। বেড়েছে সবজির দাম। সবজি ব্যবসায়ীরা বলছে, দুই একটা সবজি ছাড়া বেশির ভাগ সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে বেশির ভাগ সবজির দাম বেড়েছে এমনটি বলছে ক্রেতারা। এছাড়া মোটা চালে কেজিপ্রতি কমেছে এক থেকে দুই টাকা।

এপি চাল ভান্ডারের বিক্রেতা মিলন প্রসাদ বলেন, বাজারে প্রতিকেজে গুটি স্বর্ণা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, সুমন স্বর্ণা ৪২ টাকা, আটাস চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৪ থেকে ৫৬, মিটিকেট চাল প্রকার ভেগে ৫৮, ৬০ ও ৬২ টাকা দরে, নাজির শাইল ৬৬ টাকা, বাঁশমতি ৬৮ টাকা, কাটারি ভোগ ৭৫ টাকা, কালো জিরা ৮০ টাকা, চিনি গুড়া ৮৫ টাকা।

তিনি আরো বলেন, চালের দাম প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে। কিছু ধান উঠতে শুরু করেছে। চালের দাম আগামীতে আরো কমতে পারে।

শুক্রবার নগরীর বিনোদপুর বাজার এলাকার ব্যবসায়ী বিক্রেতা মো. পিংকু বলেন, বাজারে প্রতিকেজি আলু ২০ থেকে ৩০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পাংকশাক ২০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, পেঁপে ১৫ টাকা, প্রতি হালি লেবু ১৫ থেকে ২০ টাকা, প্রতিকেজি মিষ্টি কুমড়া ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, শসা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ ১৫ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হয়। এছাড়া বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, ফুলকপি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, করলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, টমেটো ৩০ থেকে ৫০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, পাতা কপি প্রতিটি ১৫ টাকা, মূলা ১৫ টাকা, সিম ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পুই শাক ২০ টাকা, আদা ১০০ টাকা, রসুন ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। সবজি ক্রেতা গোলাম রসুল বলেন, সবজির দাম কমেনি। বেশির ভাগ সবজির দাম বেড়েছে।

নগরীর সাহেববাজার মাছ আড়তের মাছ ব্যবসায়ী মমিন জানান, প্রতিকেজি রুই ২২০ থেকে ২৮০ টাকা, কাতল মাছ ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, পুটি ১৬০ থেকে ১৩০ টাকা, গ্লাসকাপ ১৮০ থেকে ১৪০ টাকা, তেলাপিয়া মাছ ১২০ থেকে ১৬০ টাকা, দেশি কই মাছ ৪০০ থেকে ৩০০ টাকা, মিরকা মাছ ১৮০ থেকে ১৫০ টাকা, জাপানি ১৫০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হয়।

মাছ কিনতে আসা আবদুস সালাম বলেন, মাছের দাম আগের মতোই রয়েছে। এছাড়া কয়েকটা মাছের দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে।

এদিকে নদীর প্রতিকেজি ইলিশ ৮০০ থেকে হাজার টাকা, কাটা পাতাসি ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, জিওল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, আইড় ৮০০ থেকে ৪০০ টাকা, বাইম ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, বোয়াল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, টেংরা ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, বাঁশপাতা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, নদীর চিংড়ি ৮০০ থেকে ৬০০ টাকা, দেশি মাগুর ৬০০ টাকা ও ময়া মাছ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়।

গরুর মাংস বিক্রেতা আবদুল বলেন, প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৪২০ থেকে ৪৪০ টাকা এবং খাশির গোশত ৭০০ টাকা, মহিষ ৩৫০ টাকায় বিক্রি হয়। এদিকে মুরগি ব্যবসায়ীরা বলেন, ব্রয়লার মুরগি ১১০ থেকে ১১৫ টাকা, দেশি মুরগি ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, সোনালী মুরগি ১৯০ টাকা। এছাড়া প্রতিহালি মুরগির ডিম ২৮ থেকে ৩২ টাকায় বিক্রি হয়।

 

স/আ