রাজশাহীর বাজারে শীতকালীন সবজির উত্তাপ

সজল ইসলাম:

পেঁয়াজের উর্দ্ধমূখী দাম নিয়ে হতাশ ক্রেতারা। কমেনি দাম তবে টিসিবি’র পেয়াঁজ আসায় কিছুটা স্বস্তি নামে ক্রেতাসাধারণের মনে। কিন্তু বাজারে পেয়াঁজের দাম যেন কমতেই চাচ্ছেনা। ক্রয় ক্ষমতার বাইরে বেশি দামে পেয়াঁজ কিনতে হচ্ছে নগরবাসীকে। আর এর প্রভাব পড়েছে কাঁচা সবজির বাজারে। শীতকালীন সবজির আগমনে ঘটেছে ঠিকই কিন্তু দাম নাগালের বাইরে।

বুধবার সকালে রাজশাহীর বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন করে দেখা যায়, বাজারে শিম, ফুলকপি, বাধাকপি,পালংশাকসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজির আমদানি হয়েছে। সাধারণত এসব সবজি নগরীর বাইরে বিভিন্ন এলাকা থেকেই বাজারজাত করা হয়। তবে নতুন সবজি বাজারে উঠলেই তা অতিরিক্ত দামে বিক্রি করেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। এর ফল সরুপ বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি মূলা ২০ থেকে ২৫ টাকা, বাধাকপি ৩০থেকে ৩৫ টাকা, ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, শিম ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৭৫থেকে ৮০ টাকা, নতুন লাল আলু ৮০ থেকে ৯০ টাকা, ধনেপাতা ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে যাবার উপক্রম।

এছাড়া, গাজর ৪৫ থেকে ৫০ টাকা টমেটো ৭০ থেকে ৮০ টাকা, শসা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০থেকে ৪৫ টাকা, পেঁপে ১৮থেকে ২০ টাকা, মরিচ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, সাদা আলু ৪০থেকে ৪৫ টাকা, ঢেঁড়স ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা জানান, শীতের সবজিগুলো বাজারজাত হতে সময় লাগে যার কারণে বেশি দাম দিয়ে সবজি কিনে বিক্রি করতে হয়ে। আড়তদাররা যে দরে পাইকারী বিক্রি করে তাতে লাভের অংশ কম হয়ে যায়। যার কারণে ক্রেতাদের কাছে দাম বেশিই মনে হয়। একই কথা জানান আড়তদারেরা। তাদের মতে শীতকালীন সবজি ধীরে ধীরে বাজারে আসতে থাকায় দাম বেশি থাকে। তবে কিছুদিনের মধ্যে কাচা সবজির দাম কমে আসবে বলে জানান তারা।


বাজারে বর্তমানে দেশি পেঁয়াজের দাম ২১০ থেকে ২৩০ টাকা। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়। রসুন ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা এবং আদা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়।

এদিকে বাজারে মাছের বিক্রিয় কম হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। শীতের সময়ে মাছের যোগান ও চাহিদা দুটোই কম থাকে। যার কারণে মাছের বাজারে ধস নামতে শুরু করেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। মাছ ব্যবসায়ি রমজান আলীর সাথে কথা হলে তিনি জানান,বর্তমানে রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা দরে। এছাড়াও বোয়াল ২০০ থেকে ২২০ টাকা,বড় চিংড়ি মাছ ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা, মাঝারি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, চিতল ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকা, বাসপাতা ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা, নাইলোটিকা ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা এবং গুচি মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪০০থেকে ৫০০ টাকা দরে।


বাজারে বর্তমানে দেশি মুরগি ৩৫০ টাকা, সোনালি ২২০ টাকা, লিয়ার ১৬০ টাকা হাঁস ২৭০ টাকা, রাজহাঁস ৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৫২০ টাকা এবং খাসির মাংস ৭২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে গুজবের প্রভাব পড়েনি রাজশাহীর বাজারে । লবন এখনও বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩০ টাকা দরে। আবদুল মান্নান স্টোরের মালিক মান্নান জানান, বর্তমানে আতব চাউল ৯৫ টাকা,মিনিকেট ৪৫ টাকা, আঠাশ ৪২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে দেশি মশুর ডাউল ৯৫ টাকা, মুগের ডাউল ১২৫ টাকা, সয়াবিন তেল ৮৪ টাকা, জিরা ৩৫০ টাকা, ছোলা ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।